AIDS হলো Acquired Immune Deficiency Syndrome এর সংক্ষিপ্ত রূপ।অর্থাৎ,বিশেষ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া কে বলা হয় এইডস।HIV ভাইরাস দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে।HIV ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে টা ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল দুর্বল হতে থাকে এবং একপর্যায়ে একেবারে নষ্ট করে দেয়।তখন সহজেই রোগী অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে।
এইডস রোগের লক্ষণ:
১। এ রোগে আক্রান্ত রোগীর দেহে শ্বেত রক্তকণিকা ধ্বংস হয়ে যায়।ফলে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়;
২।প্রাথমিক অবস্থায় জ্বর হয় এবং জ্বর দীর্ঘায়িত হয়;
৩।শরীর শুকিয়ে যায়;
৪।দেহের ওজন কমতে থাকে;
৫।বুকে ব্যাথাসহ কফ জমে;
৬।স্মৃতিশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়;
৭।হাড়ের অস্থিগুলোতে প্রচন্ড ব্যাথা সৃষ্টি হয়;
৮।পরিশেষে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় বলে সহজেই অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে।
বিভিন্নভাবে HIV ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।যেমন:
১।এইচ.আই.ভি. ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে, বা তার ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সূঁচ ব্যবহার করলে;
২।এইচ.আই.ভি. ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শিশুরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা গর্ভধারণের শেষদিকে বা প্রসবের সময় হতে পারে;
৩।আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করলে;
৪।কোনো রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই কাউকে রক্ত দিলে বা কারো থেকে রক্ত নিলে;
এসকল কারণে ভাইরাস একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
যে সকল উপায়ে এইডস ছড়ায় না তা হলো:
১। এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি কারো শরীরের উপর হাঁচি, কাশি দিলে, চোখের জল, থুথু বা ঘাম ফেললে, নাক ঝাড়লে;
২। হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি, স্পর্শ, চুমু কিংবা কথা বললে;
৩। একই পুকুর, গোছলখানা, পায়খানা, তোয়ালে, লুঙ্গি, গামছা ব্যবহার করলে;
৪। একই থালা-বাসন, কাপ-পিরিচ, তৈজসপত্র ব্যবহার করলে;
৫। একই আসবাবপত্র ব্যবহার করলে;
৬। এইচআইভি বহনকারী ব্যক্তির রান্না করা খাবার খেলে;
৭।এইচআইভি মুক্ত সিরিঞ্জ ব্যবহার করে রক্তদান করলে।
Reporter: Fahima Akter