টাঙ্গাইল প্রতিবেদকঃ টাঙ্গাইল জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম ইলুর (৩০) এক মনোমালিন্য স্বামী ছিলেন। দেলোয়ার রহমান মিজানার (৪৫) সে কারণেই রেদওয়ানাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে বালিশ চাপিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে দেলোয়ার।
রেদোনার বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার রোমন্তলা গ্রামে। তার স্বামীর নাম মোঃ দেলোয়ার রহমান মিজান। স্বামী মিজান একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।
জানা যায় যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘকালীন বিরোধ ছিল। ২২ শে মার্চ খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম প্রসব বেদনা নিয়ে ইলু হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে একটি ৫ দিনের বাচ্চা মেয়ে রয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে তার স্বামী মিজান কুমুদিনী তার স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন। ঘাতক তার স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো। মোঃ আতাউল গণি বলেন, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত মর্মান্তিক। তাদের স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দীর্ঘ ছিল। জেলা পর্যায়েও এটিকে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে হাসপাতালে এসে স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করা মোটেও মেনে নেওয়া যায় না। তিনি তার খুনী স্বামী মিজানকে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে রেদওয়ানার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।