নিউইয়র্কের এক বাসিন্দা মে ক্র্যাভিট্জ, কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সুস্থ হয়ে উঠেন। আক্রান্ত হওয়ার পর মাইল্ড সিম্পটম ছিল তার এবং সুস্থ হতে বেশি সময় লাগে নি। কিন্তু সুস্থ হওয়ার পর তিনি একটি নতুন সমস্যা সমুক্ষীণ হন তা হলো, অবিরাম চোখে ব্যথা।
ABC News কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, বন্ধুরা মিলে এক ডিনার পার্টিতে যাওয়ার পরই তিনি নিজে এবং তারা বাকি বন্ধুরা মাইল্ড কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সুস্থ হওয়ার পর তাদের সবারই একই রকম চোখে ব্যথা সাইড ইফেক্ট ধরা পড়ে। অসহ্য রকমের সেই ব্যথা, যেন চোখের মনি ফেটে বের হয়ে আসবে, এমনকি চোখের মনি উপরে নিচে সাইডে কোনো দিকে নড়াতেও পারেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নিউইয়র্কের একজন চোখের সার্জন, ডাঃ জেফরি ডেলো রুশো বলেন,” নতুন এই সাইড ইফেক্ট চোখে ব্যথা কোভিডের জন্য ঘটিত অন্যান্য শারীরিক সমস্যাগুলোর মতই একটি তাই এটি উপেক্ষা করা যাবে না আর। চোখের সাদা অংশটি আসলে মুখের এবং নাকের ভিতরে থাকা শ্লেষ্মা ঝিল্লির মতই। তাই শ্বাসকষ্ট, জ্বর, মাথা ব্যথার মত চোখে ব্যথা এই সমস্যাটিও এখন রোগীর দেখা দিচ্ছে। ”
নিউইয়র্কের ডিজিজ কন্ট্রোল ও প্রিভেনশন সেন্টার কিছুদিন আগে কোভিড১৯ এর জন্য ঘটিত উপসর্গের একটি লিস্ট তৈরি করে যেটাতে রেসপিরেটোরি প্রব্লেম ও জ্বর এই দুটোই প্রধান উপসর্গ বলে উল্লেখিত। কোনো চোখের সমস্যার কথা বলা নেই। কিন্তু মার্চ, ২০২০ এ , JAMA Ophthalomology থেকে প্রকাশিত একটি কেস স্টাডিতে দেখা যায়, ৩৮ জন কোভিড আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ১২ জন ই চোখের সমস্যায় পড়েন। আবার গত মাসে ফ্রান্সে প্রকাশিত রেডিওলোজির আরেকটি স্টাডি থেকে জানা যায়, গবেষক রা প্রায় ৭% রোগীর চোখের পিছনের অংশের মধ্যে এক বা একাধিক নোডুলস্, প্রদাহ, ব্যথা এসব সমস্যা খুজে পান। যদিও চোখে ব্যথা এখনও কোভিড ১৯ এর সাধারণ লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়নি, তবু গবেষকরা এই সমস্যাটিকে ছোট করে দেখছেন না এবং ভাইরাস সম্পর্কে আরো গভীর জানছেন।
চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের কিছুটা সময় লাগছে এই চোখ ব্যথা সারতে। এখন তাই ডাক্তাররা চোখ স্ক্রিনিং ও এর প্রটেক্টিভ মেজারস্ নিয়েও ভাবছেন যা পরবর্তীকালে যাতে অন্য কোনো ভাইরাল ইনফেকশন না করতে পারে। ইউ.এস এর ডাক্তাররা, মানুষ যাতে মাস্ক ব্যবহারের সাথে চোখের জন্যও প্রটেকশন হিসেবে গোগলস্ অথবা আই শিল্ড ব্যবহার করা হয় তার পরামর্শ দিয়েছেন।