ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে বান্ধবীর গুরুতর যত অভিযোগ

ডিয়েগো ম্যারাডোনার এক প্রাক্তন বান্ধবী দাবি করেছেন, সম্পর্কে থাকাকালীন তিনি ধারাবাহিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তির বিরুদ্ধে নির্যাতনের দাবি তোলা সেই কিউবান নারীর নাম মাভিস আলভারেস। ১৬ বছর বয়সে ম্যারাডোনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। তাদের এই সম্পর্ক টিকে ছিল চার বছর। শনিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে স্প্যানিশ ক্রীড়া মাধ্যম মার্কা।

ছিয়াশির মহানায়কের নাম উল্লেখ করে আলভারেস বলেন, ‘ম্যারাডোনা তার থেকে সন্তান চেয়েছিল। যদিও তারা কখনো পারিবারিক জীবন কাটাননি।’আমেরিকা তেভে নামের এক টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘আমার চোখে, আমি ডিয়েগোর সন্তান নেওয়ার কথা ভাবছিলাম। যখন আমার মাসিক বন্ধ হয়ে গেল, আমি প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করালাম। আমি সুস্থ ছিলাম না। সে সন্তান চেয়েছিল। তবে আমার সন্তানেরা ম্যারাডোনার নয়।’ আলভারেস আরও জানান, ম্যারাডোনার চাওয়ায় তিনি স্তন পরিবর্ধনের জন্য অস্ত্রোপচার করান। আর এর ফলে তার পড়ালেখাও বন্ধ করতে হয়।

তিনি বলেন, ‘ম্যারাডোনা আমাকে স্তনের অপারেশন করতে বলে। সে আমার মধ্যে পরিবর্তন চেয়েছিল। এটা সত্য যে, আমি পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কারণ ম্যারাডোনা কলেজ পড়ুয়া গার্লফ্রেন্ড চায়নি। সকালবেলা ওঠে আমার স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি সম্ভবত সে পছন্দ করত না। আমি ১৬ বছরের বালিকা ছিলাম। আমি তখন দশম গ্রেডে পড়তাম।’ ম্যাাভিস আরও জানান, এমনকি ম্যারাডোনা তাকে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিত না। তিনি বলেন, ‘আমার মা আমাকে দেখার জন্য দরজায় দাঁড়িয়ে কাঁদত। কিন্তু সে (ম্যারাডোনা) আমার মুখ চেপে ধরতো এবং দরজা খুলত না।’

আলভারেস এরপরের বর্ণনা দেন, কীভাবে তিনি ম্যারাডোনার হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তা। তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে, সে আমাকে মারতো এবং তা অনেকবার তা ঘটেছে। একবার সে আমাকে ডাইনিং রুম থেকে বের করে দিয়েছিল। আরেকবার গাড়িতে করে বাড়ি ফেরার পথে চুল টেনে ধরেছিল।’ ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতানো তারকা ম্যারাডোনা।

Leave a Comment