নীলফামারীতে বড় বোনের ভয়ে ছোট ভাইয়ের আত্মহত্যা

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় বড় বোনের পোষা কবুতরের বাচ্চা কুকুর খেয়ে ফেলেছে। এই ভয়েই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন (১১)।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দিয়াবাড়ী বাজার এলাকায়।মৃত আবদুল্লাহ আল মামুন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার তেঘরা মহেশপুর এলাকার সুজ্জাত আলীর ছেলে।মৃত মামুন স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

মামুনের বাবা সুজ্জাত আলী ব্রাকের ক্ষুদ্রঋণ শাখায় মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন জলঢাকার দিয়াবাড়ী এলাকায়। সেই সূত্রে সেখানে বাবার সাথে ভাড়া বাসায় থাকে মামুন।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় , জন্মের ১ বছর পর মা হারিয়েছে মামুন। তখন থেকে ২ ভাই এক বোনসহ বাবার কাছেই থাকে তারা। কয়েকদিন আগে দিনাজপুরে গিয়েছিলেন বড় ভাই সাকিব ও বড় বোন। আজ বাসায় মামুন ও তার বাবা ছিলেন।

আজ কবুতরের বাচ্চা কুকুর খেয়ে ফেলেছে এই ভয়েই আত্মহত্যার করেছে মামুন।জলঢাকা থানার মীরগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আব্দুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কবুতরের বাচ্চা কুকুর খেয়ে ফেলেছে এই ভয়েই আত্মহত্যার করেছে বলে আমারা জেনেছি। মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Comment