কানাডায় ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ফলাফলের অপেক্ষা। এর মধ্যেই দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জাস্টিন ট্রুডোই জিতবেন।
নির্বাচনে ট্রুডোর লিবারেল পার্টির বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী করেছেন রক্ষণশীল প্রার্থী এরিন ওটুল।
বলা হচ্ছে, এই নির্বাচনই ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক করে দেবে। সে জন্যই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।
সোমবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর কানাডার মিডিয়া সিবিসি ও সিটিভি বলেছে, ট্রুডোই জিতবেন। তার দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে। তবে তাকে আবার সংখ্যালঘু সরকার চালাতে হবে।
নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পোস্টাল ব্যালট গণনার কাজ মঙ্গলবারও চলবে। তাই কে জিতছেন, তা তাড়াতাড়ি জানা যাবে না।
এই আগাম নির্বাচনের আরেকটি কারণ হলো করোনা। ট্রুডো করোনা নিয়েই গণভোট চাইছেন। কানাডায় ৭৩ দশমিক চার শতাংশ মানুষকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের মধ্যে কানাডা এই ক্ষেত্রে একেবারে প্রথম সারিতে থাকা দেশ।
সমীক্ষা বলছে, দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই খুবই উত্তেজনাকর হতে চলেছে। গত দুই বছর ধরে ট্রুডো সংখ্যালঘু সরকার চালিয়েছেন। তিনি এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা চান। গত আগস্ট পর্যন্ত তার দিকে বিপুল সমর্থন ছিল। কিন্তু তারপর সমর্থন কমেছে।
প্রচারে ট্রুডো বলেছেন, এই নির্বাচন আসলে গণভোট। করোনাকালে তিনি যে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, সেটা নিয়েই যেন রায় দেন ভোটদাতারা।
২০১৫ সালে সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী পিয়ের ট্রুডোর ছেলে জাস্টিন ট্রুডো বিপুলভাবে জিতেছিলেন। চার বছর পর ২০১৯ সালে আবার জিতলেও তার দলের আসনসংখ্যা অনেক কমে যায়। ২০০১ সালে ইউনিভার্সিটি পার্টির কিছু ছবি সেসময় সামনে আসার ফলে আধুনিক, বৈষম্য না করা নেতা হিসেবে তার ভাবমূর্তি ধাক্কা খায়।