মেয়েটি নিজের গোপনাঙ্গের ভিডিও ভাইরালের ভয়েই আত্মহত্যা করে

হাফিজুর রহমান (২৫) যিনি তার দুই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন, তার মধুর কথা ভুলে গিয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী প্রেমে পড়েছিলেন। তারপরে অন্তরঙ্গ মোড়ানো সম্পর্কে। এবং তার দৃশ্যটি তার বন্ধু বিপুল চন্দ্র (২৮) দ্বারা বন্দী করেছিলেন। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পরে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছিল। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার ভয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।

বুধবার (২৪) দুপুরে অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রকাশ করার কারণে হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম এসব কথা বলেন।

তিনি সিআইডি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ১৫ নম্বর লাহোণীপাড়া ইউনিয়নের কাচাবাড়ী গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্র ৫ জানুয়ারী কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে এই ঘটনায়

তদন্তে জানা গেছে, প্রাক্তন ইউপি সদস্য ইউনুস আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছিলেন এবং তার সহকর্মী বিপুল চন্দ্রের সাথে তার মোবাইল ফোনে ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন। হাফিজুর রহমান ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার ভয়ে মেয়েটি নিজেকে এবং তার পরিবারকে बदनाम করার কথা ভেবে মাতাল হয়ে পড়েছিল। তাকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন। পরে মেয়েটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।

শেখ নাজমুল জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি ওই ভিডিওটি ওই অঞ্চলে ভাইরাল হয়েছিল Then তারপরে কিশোরীর বিধবা মা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। প্রতিবেশীদের কেউই জানত না সে কোথায় গেছে, বাড়িটি তালাবদ্ধ ছিল।

ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম জানান, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরই সিআইডি একটি ছায়া তদন্ত শুরু করে। মঙ্গলবার Specialাকা জেলার আশুলিয়া থানার জামগড় এলাকা থেকে হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছেন অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্ত ধর।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজুর রহমান এই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এখনও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হলে আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।

Leave a Comment