রংপুর নগরীর ব্যস্ততম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও সিটি বাজার এলাকায় পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। ৩ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮৭ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ দুটি নির্মাণ করছে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক)। নির্মাণাধীন একটি ফুটওভার ব্রিজের কাঙ্ক্ষিত জমি না পেয়ে বিকল্প স্থানে ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে। এদিকে বিভাগীয় নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে আরো ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকেরা।
রসিকের প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, ৩ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮৭ টাকার মধ্যে সিটি বাজার এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হবে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৪ টাকা এবং টামির্নাল এলাকায় ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে কোটি ৯১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৩ টাকা। ব্রিজগুলোর ফাউন্ডেশন কংক্রিট, পাটাতনসহ অন্যান্য অংশ স্টিলের। টেন্ডার শেষে গত ফেব্রুয়ারিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কংক্রিট অ্যান্ড স্টিল টেকনোলজিকে ব্রিজ দুটি নির্মাণের কার্যাদেশ দিলেও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় কাজ কয়েক মাস বিলম্ব হয়।
সরেজমিনে সিটি বাজার এলাকায় গিয়ে কথা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ইমরুল কায়েসের সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমানে ফুটওভার ব্রিজের কংক্রিট অংশের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে ব্রিজের দ্বিতীয় অংশের স্টিল স্ট্রাকচারের কাজ শুরু হবে। কাজ শুরু হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর। আশা করা যায়, বাকি কাজ দেড় মাসের মধ্যে শেষ হবে।
রসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজম আলী বলেন, ফুটওভার ব্রিজ দুটির কাজ আরো আগে শেষ হতো। জমি নিয়ে জটিলতা এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেরিতে কাজ শুরু করেছে। তবে চলতি বছর ফুটওভার ব্রিজ দুটি পথচারীর ব্যবহার করতে পারবে।
রসিক মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রসিককে আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়তে হলে সব নাগরিক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন। সিটি বাজার এলাকায় যে ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেটি আগে পুলিশ লাইন্স এলাকায় নির্মাণের প্রস্তাব ছিল। এজন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঁচ ফুট জমি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে বাধ্য হয়ে বর্তমান এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ফুটওভার ব্রিজ করার জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে প্রায় সাত মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে।