পারকিনসন ও এর কারণ…

মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগব্যাধি। বয়সের সঙ্গে বাত, ডায়াবেটিস, স্মৃতিভ্রমসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। পারকিনসন ও এমন একটি রোগ যাতে হতে ও পায়ের কাপুনি হয় এবং আক্রান্ত রোগী,নড়াচড়া হাটাহাটি করতে অপারগ হয়।সাধারণত বয়স্কদের মধ্যেই এ রোগ দেখা যায়।তবে বর্তমানে অল্প বয়সী যুবক যুবতীরা ও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।

স্নায়ুকোষ একধরনের নির্যাস তৈরি করে যাকে ডোপামিন বলে।এটি শরীরের পেশির নড়াচড়ায় সাহায্য করে।পারকিনসন এ আক্রান্ত রোগীর মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়,ফলে স্নায়ু কোষ আর পেশী কোষগুলিকে সংবেদন পাঠাতে পারে না,ফলে মাংসপেশি তার কার্যকারিতা হারায়।পারকিনসন রোগে আক্রান্ত রোগী হাঁটা চলায় অসুবিধা হয়, শরীর অবশ হয়ে যায়, শরীর কাপা,লেখালেখি করতে না পারা,শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারে না এবং কোনো কিছুর সমন্বয় করতে পারে না।এ রোগটি মানুষের অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তবে এ রোগের পূর্বাভাস বুঝে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।আক্রান্ত রোগী অনেক সময় তাদের শরীর অস্বাভাবিকভাবে ‘প্যারালাইজড’ হয়ে যেতে পারেন। এটি হওয়ার কারণে ঘুমের মাঝে তারা স্বপ্নে যা কিছু দেখে সেটি তারা বাস্তবেও করতে থাকে।

পারকিনসন রোগ ধীরে ধীরে প্রকট আকার দেখা দেয়।রোগী প্রাথমিক অবস্থায় হাত পা হালকা নাড়াতে থাকে,চলাফেরা বিঘ্নিত হয়,চোখের পাতার কাপুনী, কোষ্ঠকাঠিন্য,খাবার গিলতে কষ্ট হয়,কথা বলার সময় মুখের পরিবর্তন না আসা,এমনকি চেয়ার থেকে উঠা কিংবা হাঁটার সময় অসুবিধা মনে হয়।

চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত ফিজিওথেরাপি গ্রহণ,পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও সুস্থ জীবনযাপন করার মাধ্যমে রোগী অনেকটাই সুস্থ থাকে।

Leave a Comment