মাজেদা বেগম নামের এক নারীকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে, স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়ী। পরে আটক রাখে বাবা তার পাঁচ মাসের শিশু মিতুকে । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ওই নারীকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে। মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ, পুলিশী তৎপরতায় সেই নারীর ৫ মাসের শিশুকে ।
৯৯৯ নাম্বার থেকে ফোন আসে পুলিশের কাছে যে , তার পাষন্ড পিতা একটি পাঁচ মাসের বাচ্চাকে আটকে রেখেছে আজকেই ঢাকায় চলে যাবে শিশুটিকে নিয়ে, জানা যায়, । অসুস্থ মা মোছাঃ মাজেদা বেগম (২৪) চিলমারী উপজেলার রাজারভিটা গ্রামেন রফিকুল ইসলাম স্ত্রী, এমন সংবাদ ভিত্তিতে সাথে সাথেই জরুরী ডিউটিতে নিয়োজিত এসআই আতাউর রহমান, এএসআই জিল্লুর রহমান ফোর্সসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চিলমারী কমপ্লেক্স থেকে ।
গত (২১ মার্চ) বিকেলে মাজেদা বেগমের স্বামী, দেবর ও শাশুড়ী তাকে মারপিট করে, পারিবারিক কলহের জের ধরে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুপুরে দিকে চিলমারীতে ভর্তি হন আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাজেদা বেগম (২২ মার্চ) । রেখে দেন বাড়িতেই, কিন্তু পাষন্ড পিতা তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে । এদিকে মেডিকেলে আহত মা তার শরীরের আঘাতের যন্ত্রণার সাথে বুকের জ্বালায় ভুগতেছিলেন। তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে স্তন পান করাতে না পেরে ব্যথায় তার বুক টন টন করছিল। পুলিশি তৎপরতায় জরুরী ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ অফিসার এসআই আতাউর রহমান, তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় এএসআই জিল্লুর রহমান ও সংগীয় ফোর্স স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় দুগ্ধপোষ্য শিশু মিতু (৫ মাস) কে উদ্ধার করে। সেই সাথে মা যে ফিরিয়ে পেলেন যেন নতুন জীবন শিশুটি তার মায়ের কোলে ফিরে আনন্দে আত্মহারা।
আনোয়ারুল ইসলাম পুলিশেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, এরকম মানবিক কাজ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত চিলমারী মডেল থানার । এ কাজ করেছি আমি আমার মানবিকতা থেকে ।