অক্টোবরে পদ্মা সেতুর সড়ক পথের কার্পেটিং শুরু

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক পথের কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হবে অক্টোবরে। সোমবার (২৩ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। 

বাংলাদেশ সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তার আগেই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য টোলের হার চূড়ান্ত করা হবে।

টোলের হার প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে। এজন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন। 

এছাড়া পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় করা শুরু হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এর আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল গত জুলাই মাস থেকেই আদায় শুরু করবে। কিন্তু এখন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। 

মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় করা শুরু হবে। 

এদিকে, সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নং পিলারের ওপর সড়ক পথের শেষ স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এতে সড়ক পথের ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পুরোটাই দৃশ্যমান হয়েছে।

পদ্মা সেতু সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে (ব্যয়) ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তি মূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। এর মধ্যদিয়ে দৃশ্যমান হতে থাকে পদ্মা সেতু। ৪২টি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান একে একে বসানো হয়। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানো হয় গত বছরের (২০২০) ১০ ডিসেম্বর। এতে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়। 

Leave a Comment