একটি সুন্দর মৃত্যু

হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় টুপি মাথায়
যুবক বেশে সফেদ পাঞ্জাবি পড়ে
আজরাইল (আঃ) আসবেন।
মুচকি হেসে অভিবাদন জানিয়ে
সুসংবাদ দিবেন রবের তরফ থেকে।

কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে
অপার্থিব সুখে আমি অস্থির হবো
রবের মোলাকাত স্মরিয়ায়।
রব ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই,
মুখ ফুটিয়া অস্ফুট স্বরে বের
হতেই মৃত্যুদূত আমার রূহ্কে
বেহেস্তি শুভ্র আলোয়ানে জড়িয়ে
নিয়ে চলবেন আসমান পথে।

আমায় দেখিতে ভীড় জমাবে
প্রথম আসমানের ফেরেস্তারা,
খুশি আর প্রশংসায় পঞ্চমুখী হবে।
এভাবে দ্বিতীয়, চতুর্থ করে করে
আমায় নিয়ে পৌঁছানো হবে
শেষ আকাশে, তারপর!
তারপর আমার রবের তরে।

আমার রব! তাঁর হুকুমে আমি
আবার ফিরে আসবো কবরে।
আমাকে দেখানো হবে
বেহেস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
তারই সুগন্ধে ভরে উঠবে
আমার আপন নীড়।

এরপর আমি ঘুমোবো,
তন্দ্রাবিলাসী মেয়েটার-
আবারও তন্দ্রা পাবে।
বেহেস্তি বাতাস, পাখিদের গুঞ্জন
আর মোহনীয় দৃশ্য আমার চোখে
নিদ্রা নিয়ে আসতে বাধ্য করবে।
আমি ঘুমোবো আর সময় তার
দীর্ঘযাত্রা নিয়ে যাবে কেয়ামত পর্যন্ত।

তবুও আমার ঘুম ভাঙ্গবে না।
ঘুম ভেঙ্গে তখনই জাগবো
যখন আমার রবের আদেশে
ইস্রাফিল(আঃ) সিঙ্গায় ফুঁৎকার দিবেন।
আমি জেগে উঠে পৌঁছুবো হশরের ময়দানে।

হিসাব-নিকাশ শেষে রহমানের রহমতে
দূর থেকে দেখা আমার সেই
বেহেস্ত বাগিচায় প্রবেশ করবো।
আহা! কতই না আনন্দের সেই মুহূর্ত।
তারপর আমি যখন রবের দর্শন
লাভ করবো; তার চেয়ে উত্তম
নিয়ামাহ্ কি আর হতে পারে?

যেখানে আমার রব আমার সামনে।
ইশ্! কি অকল্পনীয় দৃশ্য।
সময় থেমে যাবে,
চোখও ভুলে যাবে
পলক ফেলার কথা।
আমি শুধু অপলকে তাকিয়ে রইব
আমার করুণাময়ের পানে।

কলমে: মেহেজাবীন শারমিন প্রিয়া।

Leave a Comment