জানো, আমি এরকম ছিলাম না। এতটা দূর্বল ছিলাম না। বিশ্বাস করো, আমি এত কান্না কাদতে পারি সেটা আমি কোনোদিনও ভাবিনি। আমি খুব নিজের মত ছিলাম , খুব স্বপ্রিয়। হ্যা, আমি তোমাকে দেখতাম, ভালো লাগতো কিন্তু সেটা একান্তই নিজের জন্য ছিল।
কিন্তু একদিন তুমিই তো আসলে, আর আমাকে শেখালে কি করে ঐ ভালোলাগাটা ভাগাভাগি করে নিতে হয় তোমার সাথে। কি করে জানতে দিতে হয় অপরজনকে যে কতটা ভালোলাগা তার জন্য রয়েছে লুকানো।
জানো, আমি সব শিখে গেলাম, বুঝে গেলাম। শিখতে শিখতে কবে যে এতটাই বেশি শেখার নেশা পেয়ে বসলো আর সেখান থেকে বের হতে পারলাম না। নেশায় বুঁদ হয়ে রয়ে গেলাম। কিন্তু তুমি?? যার হাত ধরে এতকিছু শিখলাম, জানলাম, যার বানানো সূত্র সমীকরণ আতস্থ করলাম সেই মানুষটাই আজ এইসব নিয়ম সমীকরণের বিরুদ্ধে? আর আমি সেই বিরুদ্ধ স্রোতে একা দাড়িয়ে। দেখলে তুমি? সেইজন্যই ত বলছি, আমি এরকম ছিলাম না।
আমি তোমাকে কথা দিয়েছিলাম। আর সেই কথা কি করে রাখতে হয় আমি শিখেছিলাম। আজও শিখে যাচ্ছি। কিন্তু তুমি কি ওটাই ভুলে গেছো যে ‘কে’ তোমাকে কথা দিয়েছিল? ‘কি’ কথা দিয়েছিল তা ত অনেক পরে। তুমি কি সেই ‘কে ‘ টাকেই ভুলে গেছো??
কিন্তু তুমি কি জানো, তুমি এমন ছিলে না। আজকের’ তুমি ‘ সেই ‘ তুমি ‘ না। আর আজকের ‘তুমি ‘ তখন ছিলে না বলেই ত আমি এতকিছু শিখেছিলাম, বুঝেছিলাম আর ভালোবেসেছিলাম।
এক্টাই ‘ মানুষ ‘ কিন্তু আমার কাছে দুটো ‘তুমি’। সেই ‘তুমি ‘ আর আজকের ‘ তুমি’। কিন্তু মজার বিষয় কি জানো, আমি অই সমীকরণ, নিয়ম, সূত্রগুলো মেনে আজও এই দুটো ‘ তুমি’ কেই একিভাবে ভালোবেসে চলেছি। কারণ বাস্তবতা যে দুটো ‘ তুমি’ এই শব্দ মানে না। বাস্তবতা ত সেটাই মানে যেটা ‘ ভালোবাসা’।
Reporter: Eun Ae