৫০ শয্যার হাসপাতাল, তিন তলা নতুন ভবন। সীমিত পরিসরে হলেও জিন-এক্সপার্ট,ডেল্টার
সুবিধাও যোগ হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু করোনা মহামারির সময়েও চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে হাসপাতালটি।
৫০ শয্যার হাসপাতালে যেখানে চিকিৎসক থাকার কথা ২৯জন সেখানে আছে মাত্র ১৩ জন। নেই সেল কাউন্টার মেসিন,নেবুলাইজার মেসিন,ও ১৫ বছর ধরে অচল হয়ে পরে আছে এক্স-রে মেশিন,।
ফলে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা। এমনই অবস্থা ৫০ শয্যার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সেটির।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন ভবন, ৫০ শয্যার কিছু সুবিধা থাকলেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ অবেদনবিদ না থাকায়
অনেক সুবিধা পাচ্ছেন না কালীগঞ্জ উপজেলার রোগীরা। যা ফলে একটি সিজারের জন্য ও এখানকার মানুষ জনকে রংপুর যেতে হচ্ছে।।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুরুতর অসুস্থ কোনও রোগীর উন্নত চিকিৎসা কিংবা আইসিইউর জন্য ৪০/৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে রংপুর যেতে হয়।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেলেও উপজেলার সংকটাপন্ন রোগীর জীবন রক্ষা নিয়ে বাড়ছে সংশয়।
হাসপাতালের প্রশাসনিক শাখার তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়,হাসপাতালটি উন্নীতকরণের জন্য তিন তালা নতুন ভবন নির্মাণ হয়। আর এখন সেই ৫০ শয্যার হাসপাতালের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেতে বিলাম্ব পোহাতে হচ্ছে এই উপজেলার মানুষের ।
সম্প্রতি মেডিসিন ও অন্যান্য সুবিধা পেলেও শুরু থেকেই চিকিৎসক সংকটে রয়েছে হাসপাতালটি।
ফলে প্রায় ৩ লক্ষাধিক জনসংখ্যার উপজেলার মানুষ কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও হাসপাতালে মাত্র ১৩ জন চিকিৎসক কর্মরত। অথচ ৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য বিভিন্ন পদে ২৯ জন চিকিৎসকের চাহিদা পাঠানো হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৩ পদে থাকলেও হাসপাতালটিতে কোনও ইমারজেন্সি মেডিক্যাল কর্মকর্তা নেই। ২৯টি পদের বিপরীতে বিভিন্ন বিভাগের কনসালট্যান্ট রয়েছেন মাত্র ১৩জন।
রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবার চরম দুরবস্থার কথা স্বীকার করে
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত কুমার রায় অজয় বলেন,
‘আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এর মধ্যে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।’রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসক সংকটের কারণে
অল্প সংখ্যাক চিকিৎসক নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে সেবা দিতে চিকিৎসকদের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।।
‘চিকিৎসক চেয়ে ও আমরা বারবার কর্তৃপক্ষকে চাহিদা দিচ্ছি। তারা শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় কোনও রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট অথবা রংপুর পাঠাতে হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবব্রত কুমার রায় অজয় বলেন, ঝুঁকি থাকলেও প্রয়োজনের কারণে রোগীকে রংপুরেই যেতে হচ্ছে।’