কলকাতা থেকে কয়লার জাহাজ রামপালের পথে

বাগেরহাটে নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য কলকাতা বন্দর থেকে ভারতীয় কয়লাবাহী একটি জাহাজ মোংলা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি বন্দরের (এসএমপি) নেতাজী সুভাষ ডক (এনএসডি) থেকে প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন কয়লা বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে খবর দিয়েছে প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু। তবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারত থেকে কয়লা আনার কোনো তথ্য নেই বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কাছে। এমনকি ভারতের কাছ থেকে কয়লা কেনার বিষয়টিই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

এমন পরিস্থিতিতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিন আহম্মেদ দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, রামপালে যে কয়লা আসছে ভারত থেকে তা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নয়। ওই কয়লা আসছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোলশেডের (কয়লা মজুদের ছাউনি) মেঝে তৈরির জন্য।

গতকাল শুক্রবার ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা পিটিআইর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির ইংরেজি পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’তে প্রকাশিত বাংলাদেশে কয়লা রপ্তানিসংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে কলকাতা বন্দর থেকে কয়লাবাহী জাহাজ বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ওই জাহাজে থাকা ৩ হাজার ৮০০ টন কয়লা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরীক্ষামূলক পরিচালন কাজে ব্যবহার করা হবে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

কলকাতা বন্দরের যুগ্ম সভাপতি এ কে মেহেরাকে উদ্ধৃত করে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ধানবাদ থেকে ইতিমধ্যে কয়লার প্রথম চালানটি এসেছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে জাহাজে উঠবে কয়লা। কলকাতা বন্দর থেকে জাহাজ যাবে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে। এই কয়লা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ব্যবহার হবে। প্রথম দফায় কলকাতা বন্দর থেকে ৩ হাজার ৮০০ টন কয়লা যাচ্ছে মোংলা বন্দরে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোদমে চালু হলে প্রতি মাসে কলকাতা থেকে ২০ হাজার টন কয়লা যাবে রামপালে। পরে দ্য হিন্দুতে বাংলাদেশে কয়লা রপ্তানিসংক্রান্ত প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের প্রথম চালান কলকাতা বন্দরে খালাসের পর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত ক্যাপটিভ জেটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। জেডএস লজিস্টিকসের মাধ্যমে গোদাবরি কমোডিটিজ এই কয়লার রপ্তানিকারক। ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে উদ্ধৃত করে হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এসএমপি কলকাতা থেকে প্রতি মাসে ২০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় কয়লা বাংলাদেশে যাবে বলে আমরা আশা করছি।’

ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ধানবাদ এলাকাটি কয়লার জন্য বিখ্যাত। দেশে ও বিদেশে সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জোর সমালোচনা চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। সমালোচকদের মতে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, ভারত তার নিম্নমানের কয়লা বাংলাদেশে বিক্রি করার জন্যই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এ কয়লায় পরিবেশের আরও ক্ষতি হবে। তবে বাংলাদেশ সরকার বলছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে অত্যাধুনিক ‘আলট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি’ ব্যবহার করা হবে, যার মাধ্যমে কয়লা পুড়িয়ে তৈরি হওয়া ক্ষতিকর সালফার বা নাইট্রাস পার্টিকলগুলোকে ট্র্যাপ করে ফেলা সম্ভব। অর্থাৎ বাতাসে সেগুলো বেরোতেই পারবে না। সরকারের নীতিনির্ধারকরা আরও বলছেন, নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে কমপক্ষে ১৪ কিলোমিটার দূরে। যে কারণে কেন্দ্রটি সুন্দরবেনের ওপর ক্ষতিকর কোনো প্রভাব ফেলবে না।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারত থেকে কয়লাবাহী জাহাজের যাত্রা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল শুক্রবার মোবাইল ফোনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ভারত থেকে কয়লা কেনা হবে এ রকম কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। এ বিষয়ে দুটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি এ নিয়ে কাজ করছে। কয়লা কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ভারত থেকে কয়লা আসার তথ্য ঠিক না, এ-সংক্রান্ত কোনো তথ্য বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে নেই।’

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যে কয়লা আসছে ভারত থেকে তা বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির বিদ্যুৎ উৎপাদনকাজের জন্য নয় বলে জানিয়েছেন বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি গতকাল রাতে টেলিফোনে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘রামপাল কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে ভারতীয় কোম্পানি ভেল। রামপাল কেন্দ্রের নকশার মধ্যে কোলশেড আছে, যেখানে কয়লা রাখা হবে। এই কয়লা ভেল ভারত থেকে আনছে কয়লাশেডের মেঝে করার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের যে কয়লা আসছে তা নিম্নমানের। এ কয়লা দিয়ে কেন্দ্র চালানোর সুযোগ নেই। কয়লা আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, দরপত্রের কাজ এখনো শেষ হয়নি।’

বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সমান মালিকানা রয়েছে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং ভারতের পক্ষে দেশটির ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি)। কেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কোম্পানি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের দুজন কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা কেনার জন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি কমিটিতে বাংলাদেশের দুজন ও ভারতের দুজন প্রতিনিধি রয়েছেন। এটি স্টিয়ারিং কমিটি। অন্য কমিটি করা হয়েছে বিআইএফপিসিএলের বোর্ড সদস্যদের নিয়ে। এই কমিটি এখন পর্যন্ত কোন দেশ থেকে কয়লা কিনবে তা ঠিক করতে পারেনি। কয়লা কেনার জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে গত জুলাই মাসে।

প্রথমে সুন্দরবনের পাশে রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয় বাংলাদেশে সরকারের সঙ্গে ভারতের। দেশ ও বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে সরকার ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে আসে। রামপালের গৌরম্ভার কৈকরদশকাঠি ও সাতমারী মৌজায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল হওয়ায় সেই জমিতে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা আরও বলছেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রামপালের জন্য কয়লা আমদানির আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে কয়লা সরবরাহের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দরপত্রে অংশ নিতে পারেনি। সে কারণে দরপত্র জমা দেওয়ার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ আহ্বান করা দরপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হবে ৭ জুলাই। তবে এবারও আশানুরূপ দরপত্র বিক্রি হয়নি। ফলে আবারও দরপত্র জমাদানের তারিখ বাড়ানো হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়লা কেনার জন্য গঠিত দুটি কমিটি একাধিকবার বৈঠক করেছে। বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার কয়লা। ভারতের কয়লা অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় এ কয়লা কিনলে দেশ ও দেশের বাইরে বড় ধরনের বিতর্ক হবে বলে তারা ভারত থেকে কয়লা কিনতে আগ্রহী নয়। তা ছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঝাড়খন্ডের ধানবাদ এলাকার কয়লা উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনন করে উত্তোলিত। এ কয়লার মান অত্যন্ত খারাপ। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও এ কয়লা পোড়ালে বাতাসে সালফারের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এর দাহ্য ক্ষমতাও কম।

কেন্দ্র নির্মাণই শেষ হয়নি : ২০১০ সালের জানুয়ারিতে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সমঝোতা স্মারক সই হয় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। ২০১২ সালে যৌথ অংশীদারত্বের কোম্পানি বিআইএফপিসিএল গঠিত হয়। ২০১৬ সাল থেকে ভারতের প্রতিষ্ঠান ভেল (ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড) রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু করে। কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ করার তারিখ একাধিকবার পিছিয়েছে। সর্বশেষ তারিখ ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে। এখন কেন্দ্র নির্মাণ কবে শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, যত দেরি হবে তত বেশি ঋণের সুদ বাড়বে। এই কেন্দ্রটির ইকুইটির সুদের হার সব থেকে বেশি। বিআইএফপিসিএলের ইকুইটি সুদের হার ১৬ শতাংশ। এ রকম সুদে অন্য কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইকুইটি ঋণ নেওয়া হয়নি।

ওই কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, কেন্দ্র নির্মাণে যত দেরি হবে ইকুইটি ঋণের সুদের হার বেড়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা কঠিন। সুদ যত বাড়বে বিদ্যুতের দাম তত বাড়বে বলেও তাদের মত।

ভারতীয় কয়লা আমদানি বাতিল দাবি : রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারতীয় কয়লা আমদানির খবর জানতে পেরে দ্রুত তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন দেশের কয়েকজন অর্থনীতিবিদ, পরিবেশবাদী এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহীরা। গতকাল রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনাবিষয়ক কর্মজোটের (বিডব্লিউজিইডি) আহ্বায়ক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম এবং একই সংস্থার সদস্যসচিব হাসান মেহেদী।

বিবৃতিতে বলা হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানির চুক্তির কোনো খবর ভারত বা বাংলাদেশ সরকার জানায়নি বা কোনো সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। এ প্রকল্পের শুরু থেকেই বিশ^ জনমত, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও পরিবেশগত ঝুঁকি উপেক্ষা করে ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় অসামরিক সম্পদ ও অর্থ ব্যয় সম্পর্কিত চুক্তি সম্পাদনে এ ধরনের গোপনীয়তা ও অস্বচ্ছতা গণতান্ত্রিক নীতি ও নৈতিকতার পরিপন্থী এবং নাগরিকদের জানার অধিকারের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের নামান্তর। ভারতীয় কয়লা পৃথিবীর সব থেকে নিম্নমানের কয়লার অন্যতম। প্রতি কেজি অস্ট্রেলীয় বা ইন্দোনেশীয় কয়লায় যেখানে ৭০ গ্রাম ফ্লাইঅ্যাশ তৈরি হয়, সেখানে ভারতীয় কয়লায় ফ্লাইঅ্যাশ তৈরি হয় ৩০০ গ্রাম। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ভারতীয় কয়লা দরকার ৭০০ গ্রাম, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা দরকার ৪৫০ গ্রাম ও ইন্দোনেশিয়ার ৫০০ গ্রাম। যে কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য ভারত নিজেই অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা আমদানি করে থাকে। ভারতীয় কয়লা ব্যবহার করলে একদিকে ৪০ শতাংশ বেশি কয়লা দরকার হবে, অন্যদিকে প্রায় ৫ গুণ বেশি ফ্লাইঅ্যাশের দূষণ বাড়বে।

Leave a Comment