সন্তান আমার না, অপকর্মের কথা স্বীকার করে যুবলীগ সভাপতি

বিয়ের কথা বলে কলেজছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সর্ম্পক গড়ে তোলেন যুবলীগ সভাপতি। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই কলেজছাত্রী। বিয়ে নিবন্ধন ও দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হলে সবকিছু অস্বীকার করেন যুবলীগ সভাপতি। এ অবস্থায় সাতমাসের অন্তঃস্বত্ত্বা কলেজছাত্রী অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবি তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দেন।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছানাউল হক ওরফে হক মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি গৌরীপুর পৌরসভার গজন্দর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে। সানাউল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান।

ওই কলেজছাত্রী জানান, তার ভাই ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য হওয়ায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছানাউল হক প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন। এ অবস্থায় গত প্রায় চার বছর ধরে তার সঙ্গে পরিচয়। এক পার্যায়ে ময়মনসিংহের একটি হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেন। বিয়ে নিবন্ধন ও দ্রুতই দ্বিতীয়বার সন্তান নেওয়ার শর্তে তিনি দুই মাসের গর্ভ নষ্ট করেন। পরে তাকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যের একটি কাবিননামা তুলে দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ঢাকার গাজীপুর গিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করা অবস্থায় ফের অন্তঃস্বত্বা হয়ে যান তিনি। ঘটনাটি জানতে পেরে ছানাউল হক এটা তার নিজের সন্তান নয় বলে অস্বীকারের পাশপাশি আগের বিয়ে নিবন্ধনও ভুয়া বলে দাবি করেন।

এ ঘটনায় গত ১৬ জুন ওই কলেজছাত্রী ময়মনসিংহ জেলা শিশু ও নারী নির্যাতন দমনের বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নালিশি আবেদন করেন। আদালত তা আমলে নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন।

ময়মনসিংহ জেল পিবিআই ইন্সপেক্টর মো. ফিরোজ হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই কলেজছাত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। খুব দ্রুতই তদন্তকাজ শেষ করে মাননীয় আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

যুবলীগ সভাপতি ছানাউল হক বলেন, ‘ও (কলেজ ছাত্রী) একটা খারাপ মেয়ে। অন্য ১০জনের মতো শয়তানের পাল্লায় পড়ে আমিও কয়েকবার তার কাছে গেছি। সেও আমার কাছে এসেছে। তাই বইল্যা তার পেটের বাচ্চা যে আমার হবে সেটা পরীক্ষার দরকার। তাছাড়া মামলার বিষয়ে আদালতেই প্রমাণ হবে। আমাকে হেয় করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে।’

Leave a Comment