আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সীমিত পরিসরে লকডাউন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে । তবে লকডাউনের মধ্যেও সড়কে বাস ছাড়া মোটামুটি সব ধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে । আর সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, এমনকি পিকআপ ভ্যানেও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে । আর বাস না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায় অফিসগামী যাত্রীদের । তবে সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আসাদগেট অংশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে, ফার্মগেটে অনেককেই রাস্তায় দীর্ঘ সময় ধরে যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ।
তবে সকালে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের মোড়ে আধা ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়েছিলেন স্মৃতি মারিয়া সরকার । আর পল্টনের একটি রিক্রুটিং এজেন্সিতে কাজ করেন তিনি । তবে কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা পেলেই দৌড়ে যাচ্ছিলেন । আর দরদাম করছিলেন মোটরসাইকেলচালকদের সঙ্গেও। রংপুর ডেইলীকে স্মৃতি মারিয়া বলেন, ‘সিএনজিগুলো স্বাভাবিক সময়ে ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যেই পল্টনে যায় । তবে আজ তিন গুণ বেশি ভাড়া চাচ্ছে । তবে সরকারের সিস্টেমটাই (লকডাউন) সিস্টেম লস করে দিয়েছে ।
স্মৃতি মারিয়া আর বলেন, ‘অভিবাসী কর্মীদের কিছু ফ্লাইট আছে সামনে । তবে তাঁদের হোটেল বুকিং দেওয়া, আনুষঙ্গিক কাজসহ অনেক কাজ বাকি আছে আর। অফিস না গিয়ে উপায় নেই । তবে এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে । আর বেড়েছে ভোগান্তি । তবে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া ।’ আর ফার্মগেট মোড়ে স্বামী–সন্তানসহ দাঁড়িয়েছিলেন সুমি আক্তার । তবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসক দেখিয়ে চিটাগং রোডে বাড়িতে ফিরছিলেন । আর অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও পাননি যানবাহন । তবে একেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা আসছে আর দৌড়ে গিয়ে দরদাম করছেন । তবে বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় নিতে পারছেন না।
রংপুর ডেইলীকে সুমি আক্তার বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ডাক্তার দেখাইছি গতকাল । তবে রাতে মা–বাবার বাসায় ছিলাম । তবে সবাই বলল, বৃহস্পতিবার থেকে গাড়ি চলা বন্ধ থাকবে । তাই তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখাইতে আসছিলাম । তবে পাশেই ছিলেন মোটরসাইকেলচালক আল আমিন । যাত্রী খুঁজছিলেন তিনি বলেন, ‘চাকরি-ব্যবসা করি না ,জমানো টাকাও নেই । তাই বাইক চালিয়ে সামান্য যা আয় হয়, সেটা দিয়েই সংসার চলে । তবে এত বেশি আয় নেই যে বাইক চালানো বন্ধ রেখে ঘরে বসে খাব । আর না খেয়ে মরতে রাজি নই আমি । তবে ’ সীমিত পরিসরে লকডাউনের মধ্যেও আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তীব্র যানজট ছিল ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার যাওয়ার পথে । আর দীর্ঘ সময় ধরে সড়কে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল সারি সারি গাড়ি। তবে ছিল না গণপরিবহন। সড়ক ছিল ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে।
তবে ফার্মগেটের সড়কে দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক, তেজগাঁও) আলতাফ হোসেন । রংপুর ডেইলীকে তিনি বলেন, ‘চালকের সঙ্গে এক-দুজন আরোহী নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দিচ্ছি ।আর মোটরসাইকেলে একজনের বেশি চলতে দেওয়া হচ্ছে না । তবে সড়কে বাস না থাকলেও অন্যান্য সব যানবাহন চলছে ।’