ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের দখল নিয়ে চলছে তীব্র লড়াই। এরই মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধে ইউক্রেনের ৩০০ জনের বেশি সেনাসদস্যকে হত্যার দাবি করেছে রাশিয়া।
আজ রোববার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশোঙ্কভ এ দাবি করেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগেই মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়, তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্রিভি রিহ শহরে ইউক্রেনের একটি বড় অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে।
ইউক্রেনে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইগর কোনাশোঙ্কভ। এ ছাড়া রুশ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনের একটি এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের ভাষ্যমতে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনীয় সেনাদের হত্যার পাশাপাশি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ ইউনিট সামরিক ও বিশেষ সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে সেভেরোদোনেৎস্কে লড়াই নিয়ে রোববার ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়, শনিবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় কামানের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এখনো লড়াই চলছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। সে সময় মস্কো জানায়, ইউক্রেনকে ‘নাৎসি প্রভাবমুক্ত’ ও নিরস্ত্র করতেই তাদের এ অভিযান। পরে লক্ষ্যে পরিবর্তন আনা হয়। বলা হয়, এখন থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দেবে তারা। এর পর থেকেই এই অঞ্চলে হামলা জোরদার করে রুশ বাহিনী।
এদিকে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা ঠেকাতে ইউক্রেনে আরও অস্ত্রসহায়তা পাঠিয়েছে ডেনমার্ক ও যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ রোববার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ডেনমার্ক থেকে জাহাজবিধ্বংসী ‘হারপুন’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘হোইতজার’ কামানের চালান আসা শুরু করেছে।