হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ শীর্ষ নেতারা কমিটির গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। সংস্থাটি বলেছে যে হেফাজতের প্রতি নমনীয়তা দেশে বিপর্যয় ডেকে আনবে।
একাত্তরের হত্যাকারী দালালদের নির্মূলের জন্য কমিটি আয়োজিত ‘জামায়াতে হেফাজত চক্রের সরকার-সরকার ও নাগরিক সমাজের কী করা উচিত’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এটি বলা হয়েছিল।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একিউএম মোজাম্মেল হক বলেছেন যে জামায়াতের মতো হেফাজতও ইসলামকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে চায়। তারা স্বর্ণজয়ন্তী হতাশ করার চেষ্টা করেছে স্বাধীনতার অর্থ নয়। তাদের মুক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও দেরিতে হলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
মাঠের রক্ষীদের গ্রেপ্তার করা হলেও মামুনুল ও বাবুঙ্গারির মতো শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্মল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সমালোচনা করেছেন। হেফাজতের রাজনীতি বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। হেফাজতের সাথে যে কোনও সমঝোতা কেবল ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে আত্মঘাতী হবে না, তা দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে। হেফাজতের প্রতি নমনীয়তা দেশে বিপর্যয় ডেকে আনে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, কওমি মাদ্রাসাগুলোর স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও কাওমী মাদ্রাসাগুলির উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়নি। হেফাজত স্বাধীনতাবিরোধী রাজনীতির সাথে জড়িত। সহিংসতায় জড়িত হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সমস্ত মাদ্রাসা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে হবে।
লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, হেফাজত এদেশে ভাল এবং শক্তিশালী সব কিছুর বিরোধিতা করে। পাঠ্যপুস্তকের সাম্প্রদায়িকতা রোধে প্রদত্ত বেশিরভাগ সুপারিশ সরকার গ্রহণ করে নি। এ ব্যাপারে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।