আমাদের শ্বসনতন্ত্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে ফুসফুস।তবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে অনেকসময় আমাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।ফুসফুসের অনেকগুলো রোগের মধ্যে অন্যতম একটি হলো হাঁপানি।ইংরেজিতে এটিকে বলা হয় Asthma.বাহ্যিক কোনো পদার্থ ফুসফুসে প্রবেশ করলে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করতে দেহের যতটুকু প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখানোর কথা,তার চেয়ে অধিক পরিমাণে প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখালে হাঁপানি হতে পারে।আবার অনেক সময় বংশগত কারণেও এটি হয়ে থাকে।তবে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যে,হাঁপানি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়,আবার জীবাণুবাহিতও নয়।
★হাঁপানির কারণ:
এলার্জি হয়-এমন খাবার খেলে হাঁপানি হতে পারে।যেমন-চিংড়ি,গরুর মাংস,ইলিশ মাছ ইত্যাদি।এছাড়াও বায়ুর সাথে ধূলাবালি,ফুলের রেণু ফুসফুসে প্রবেশ করলেও হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
★হাঁপানির লক্ষণ:
*হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
*কাশির সাথে কখনো কখনো সাদা কফ বের হয়।
*সাধারণত জ্বর থাকেনা।
*শ্বাস নেয়ার সময় রোগীর পাঁজরের চামড়া ভিতরের দিকে ঢুকে যায়।
*রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে।
★হাঁপানির প্রতিকার:
*এটি সম্পূৃণ নিরাময়যোগ্য রোগ নয়।তবে সঠিক ঔষুধ খেলে কিছুটা আরাম বোধ করা যেতে পারে।
*শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় এমন খাবার পরিহার করা।
*আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে বাস করা।
*ধূমপান,গুল,সাদা পাতা,জর্দার ব্যবহার পরিহার করা।
★হাঁপানি প্রতিরোধ:
*স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা।
*শ্বাসকষ্ট লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সবসময় সাথে রাখা।
অর্থাৎ, হাঁপানি রোগটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়।একবার হলে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়।ঔষুধ খেয়ে চলতে হয়।তাই আমাদের উচিৎ হাঁপানি প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকা।
©দীপা সিকদার জ্যোতি