আমাদের দৈহিক কাজকর্ম বজায় রাখতে হরমোন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।হরমোন মূলত রাসায়নিক উপাদান যা এক বা একাধিক কোষ থেকে নিঃসৃত হয়ে দেহের অন্য কোষের উপর ভূমিকা রাখে।
অবস্থানের উপর ভিত্তি করে হরমোন তিন প্রকার।
১.লোকাল হরমোন
২.সাধারণ হরমোন
৩.ট্রপিক হরমোন
লোকাল হরমোনের মধ্যে আছে গ্যাস্ট্রিন, সিক্রেটিন, কোলেসিস্টোকাইনিন ইত্যাদি।
সাধারণ হরমোনের মধ্যে আছে বৃদ্ধি হরমোন, থাইরয়েড হরমোন, ইনসুলিন ইত্যাদি।
আর ট্রপিক হরমোনের মধ্যে আছে থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোন, ফলিকল উদ্দীপক হরমোন, ল্যুটিনাইজিং হরমোন, এড্রেনোকর্টিকোট্রফিক হরমোন।
আবার রাসায়নিক ধরনের উপর ভিত্তি করেও হরমোন তিন প্রকার।
১.স্টেরয়েড হরমোন
২.প্রোটিন বা পেপটাইড হরমোন
৩.টাইরোসিন নামক এমিনো এসিড থেকে উদ্ভূত হরমোন।
স্টেরয়েড হরমোনের মধ্যে রয়েছে এলডোস্টেরন, করটিসল, এনড্রোজেন, ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন, টেস্টোস্টেরন ও ১,২৫ – ডাইহাইড্রোক্সি কোলেক্যালসিফেরল (ক্যালসিট্রায়োল) হরমোন।
পেপটাইড হরমোনের মধ্যে আছে বৃদ্ধি হরমোন, প্রোল্যাক্টিন, এন্টিডাইইউরেটিক হরমোন, অক্সিটোসিন, ইনসুলিন, গ্লুকাগন, প্যারাথাইরয়েড হরমোন, ক্যালসিটোনিন, ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোন, ল্যুটিনাইজিং হরমোন, থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন, এড্রেনোকর্টিকোট্রফিক হরমোন।
আর টাইরোসিন উদ্ভূত হরমোন হলো থাইরক্সিন, ট্রাই আয়োডোথাইরোনিন, এপিনেফ্রিন, নরএপিনেফ্রিন ও ডোপামিন হরমোন।
হরমোন আমাদের দেহে তিন উপায়ে কাজ করতে পারে।
*মেমব্রেনের ভেদনযোগ্যতা বিনিময় করার মাধ্যমে
*আন্তঃকোষীয় এনজাইম সক্রিয় করার মাধ্যমে
*জিন সক্রিয় করার মাধ্যমে।
আন্তঃকোষীয় এনজাইম সক্রিয়করণ আবার তিনভাবে হতে পারে-
i. সাইক্লিক এএমপি সিস্টেম
ii. মেমব্রেন ফসফোলিপিড সিস্টেম
iii. ক্যালসিয়াম আয়ন ক্যালমোডুলিন সিস্টেম।
আর জিন সক্রিয়করণও দুই ধরনের হতে পারে-
i. স্টেরয়েড হরমোন
ii. থাইরয়েড হরমোন
©দীপা সিকদার জ্যোতি