স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোনও ধর্মঘটের অনুমতি দেওয়া হবে না। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজতের সহিংসতার বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় পুরাণো পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েব আমির আবদুর রব ইউসুফি শনিবার (২৬ মার্চ) সারাদেশে বিক্ষোভ ও রবিবার ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। ২৬ মার্চ)।
নেতা-কর্মী ও বিক্ষোভকারী উপাসকদের উপর হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে দুপুরে পূজারীদের একাংশের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার গুলি ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। জলের কামানও ব্যবহৃত হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ করেছে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চারজন মারা গেছেন।
একইভাবে, শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পরে, যখন ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ধাওয়া চলছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভয়াবহতার নগরীতে পরিণত হয়েছিল। স্বাধীনতার স্বর্ণজয়ন্তীতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ভয়াবহ সহিংসতা চালায়। এ সময় তারা নির্বিচারে বঙ্গবন্ধুর মুরাল এবং সরকারী কাঠামো ভেঙে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে from টা পর্যন্ত দাঙ্গা হয়। জামিয়া ইউনুসিয়া ও জামিয়া সিরাজিয়া মাদ্রাসার কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী শুক্রবার নামাজের পর রাস্তায় নেমেছিল। হাতে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র।
হামলাকারীরা সরকারি ও বেসরকারী অফিস, বঙ্গবন্ধু মুরাল, স্বাধীনতার বিভিন্ন স্থাপত্য, পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং রেলস্টেশনকেও আগুন ধরিয়ে দেয়। রেললাইন উপড়ে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ, বিকাল ৪ টা থেকে andাকা-সিলেট এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।