কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা বারোদাগ এলাকা থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে এক নারীর পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে একটি পরিবার সেখানে ছুটে যায়। ওই পরিবার লাশটি তাদের সন্তান সজনী খাতুনের বলে শনাক্ত করে। এরপর গতকাল রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় সজনীর স্বামী লালন মিয়াকে।
ভেড়ামারা থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার সকালে লাশটি ওই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। লাশ ওই বাড়িতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই মুঠোফোনে এক নারীর কল পায় পরিবারটি। নিজেকে সজনী দাবি করে ওই নারী বলেন, তিনি বেঁচে আছেন। স্বামীর ওপর রাগ করে ঢাকায় চলে গেছেন। বিষয়টি বিশ্বাস না হওয়ায় পরে ভিডিও কলে কথা বলেন সজনী। এরপর সজনীর বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন তাঁর মা–বাবা।
সজনী খাতুন (২৯) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া রানাখড়িয়া কদমতলা এলাকার সিরাজুল হকের মেয়ে ও ষোলদাগ গ্রামের লালন মিয়ার স্ত্রী।স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে সজনীর সঙ্গে লালনের বিয়ে হয়। তাঁদের এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। স্বামী লালন মাঝেমধ্যে স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন। এমন এক ঘটনার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি সজনী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যান। গত বৃহস্পতিবার লালন শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। পরদিন শুক্রবার লালন মুঠোফোনে শাশুড়িকে জানান, ওই দিন থেকে সজনীকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর সজনীর পরিবারের সদস্যরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, সজনী জীবিত এবং ঢাকায় আছেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেছেন। সজনীর স্বামী লালনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওসি আরও বলেন, উদ্ধার করা লাশটি এখন অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হবে। আশপাশের থানাগুলোতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। লাশের পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।