স্বরযন্ত্র বা Larynx হলো আমাদের শব্দ তৈরীর অঙ্গ।আমরা কথা বলার সময় যে শব্দ উৎপন্ন হয় তা সৃষ্টি করে স্বরযন্ত্র।এটা epiglottis বা আলজিহ্বার উপরের বর্ডার থেকে ৬ নম্বর গ্রীবাদেশীয় কশেরুকা পর্যন্ত বিস্তৃত।বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-৪ নম্বর গ্রীবাদেশীয় কশেরুকা পর্যন্ত বিস্তৃত।
স্বরযন্ত্রে দুই ধরনের তরুণাস্থি থাকে।সংখ্যার হিসেবে মোট ৯ টি।তার মধ্যে তিনটি থাকে বিজোড় অবস্থায়।সেগুলো হলো- Epiglottis,Thyroid ও Cricoid.
আর বাকি ছয়টি তিন জোড়া হিসেবে থাকে।সেগুলো হলো- Arytenoid,Corniculate ও Cuneiform.
Epiglottis:
এটির আকৃতি পাতার মত।এর সামনের এবং পেছনের সার্ফেসের উপরে থাকে Non-keratinized stratified squamous epithelium.আর পেছনের সার্ফেসের নিচে থাকে Pseudo-stratified ciliated columner epithelium.
Thyroid cartilage:
থাইরয়েড তরুণাস্থি দুইটি ল্যামিনা দিয়ে তৈরী।ল্যামিনা দুটি মিলিত হয়ে তৈরী করে Thyroid angle. পুরুষে এই angle টি স্পষ্ট বোঝা যায়।গলায় হাত দিলেই বোঝা যায়।পুরুষে এটির নাম Adam’s apple. পুরুষে এই angle টি ৯০ ডিগ্রী আর মহিলাদের ১২০ ডিগ্রী হয়ে থাকে।
স্বরযন্ত্রের অভ্যন্তরীন:
স্বরযন্ত্রের ভিতর তিন জোড়া ফোল্ড থাকে।
1.Aryepiglottic fold
2.Vestibular fold
3.Vocal fold
এগুলোর মাধ্যমে larynx বা স্বরযন্ত্রের ভেতরটা তিন ভাগে ভাগ হয়।
1.Upper part
2.Sinus
3.Lower part
স্বরযন্ত্র মূলত Pseudo-stratified ciliated columner epithelium দিয়ে আবৃত।এটি মোটর সাপ্লাই পায় recurrent laryngeal nerve দিয়ে।এবং রক্ত সাপ্লাই পায় superior laryngeal artery এবং inferior laryngeal artery দিয়ে।দুই দিকের Recurrent laryngeal nerve যখন কেটে যায় তখন মানুষ কথা বলতে পারেনা এবং তার শ্বাস-প্রশ্বাসেও সমস্যা হয়।
©দীপা সিকদার জ্যোতি