সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক ভাষা ব্যবহারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রুহুল আমিন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জুবের খানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন।
রুহুল আমিন শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, জুবুর খান আমাকে জীবিত কবর দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তখন থেকেই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমি থানায় একটি জিডি করেছি।
অপর তিন আসামি হলেন পিডিবির কর্মী আতিকুল ইসলাম, মোস্তাকিম মিয়া ও লিয়াকত আলী।
তবে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, “আমি তাকে হুমকি বা হত্যা করি নি।” ঘটনার সময় আরও অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন। তারা যা দেখেছিল তা দেখেছি। সুতরাং তদন্তে কোনও সত্যই পাওয়া যাবে না।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডিবির একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গোলাপগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যাওয়ার জন্য কিছুদিন আগে পিডিবির কর্মকর্তাদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেছিলেন জুবের খান। প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ না দেওয়ার জন্য তিনি বিভিন্নভাবে কর্মকর্তাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।
তবে এই অভিযোগকে অস্বীকার করে জুবের খান বলেছিলেন, “আমি নিজেও একবার পিডিবিতে কাজ করেছি, শ্রমিক রাজনীতি করেছি, এখন আমি মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি।” বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করার জন্য চাঁদাবাজি দাবি করার প্রশ্নই আসে না। কেউ এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।
সূত্রমতে, যুবর খান অতীতে পিডিবির কর্মচারী ছিলেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তবে তারপরেও পিডিবি অফিসে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত। তিনি বিভিন্ন ঠিকাদার নিয়োগ করতে, সিবিএ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে এবং পিডিবিতে আধিপত্য বিস্তার করতে চান।
নগরীর বাগবাড়ীতে সিলেট পিডিবি অফিসের একটি কক্ষ বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ অবৈধভাবে দখল করেছে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। কিছুদিন আগে পিডিবি কর্তৃপক্ষ ঘরে একটি নতুন লক রেখেছিল। গত মঙ্গলবার জুবের খানসহ কয়েকজন শ্রমিক-কর্মচারী উপ-পরিচালক রুহুল আমিনকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এ সময়, চাবি দিতে অস্বীকারকারী রুহুল আমিনকে হত্যার হুমকিতে অপমান করা হয়েছিল। পরের দিন বুধবার রুহুল আমিন এ ব্যাপারে ৪ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।