নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার চায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠনে দ্রুত আইন করার পক্ষে দলটি। আজ রোববার রাতে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নির্বাচনকালীন সরকারের ধারণাসহ মোট ছয়টি প্রস্তাব তুলে ধরেছে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয়।
সংলাপ শেষে দলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী মুঠোফোনে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে তাঁরা বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা না থাকলে কমিশন ব্যর্থ হবে। এ ছাড়া সার্চ কমিটি করে কোনো ফল হবে না। রাষ্ট্রপতিই যেন নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষদের দিয়ে কমিশন গঠন করেন এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করেন, সে প্রস্তাব তাঁরা দিয়েছেন।
সংলাপে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে যে দুটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল, তারা বিতর্কিত ছিল। এ ছাড়া সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে স্বাধীন করার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। তারা আরও বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা বা যোগ্যতার চেয়েও সরকারের নিরপেক্ষতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।