সাওদাহ বিনতে আল-জামা’আ (রা.) উম্মুল মু’মিনীনদের একজন। তিনি এমন সময়ে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি প্রেরিত বাণীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন যখন কেউই তাকে বিশ্বাস করতে চায়নি। তিনি তার সময়, অর্থ, প্রচেষ্টা সবকিছু মহান আল্লাহর পথে ব্যয় করেন।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বিয়ের আগে তিনি মানুষের কাছে পবিত্র এবং ধার্মিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেসময়ে কোন মানদন্ড ছিল না, কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ এটা বোঝার ক্ষমতা অনেকের ছিল না। ইসলাম আসার আগে সবাই যখন গহীন অন্ধকূপে নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিল, তখন এই নারী জানতেন কিভাবে মানুষের সাথে ব্যবহার করতে হয়, কিভাবে তাদের অধিকার আদায় করতে হয়, কিভাবে কাউকে অসম্মান করা থেকে বিরত থাকতে হয়। তিনি যেন ছিলেন ফিতরাহর উপর সমাসীন। তিনিই সাওদাহ বিনতে আল-জামা’আহ বিনতে আল-কাইস আল-কুরাইশি আল-আমুরিয়্যাহ।
তিনি আল-সাকরান ইবনে আল-আমর (রা.) নামক এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। সেই ব্যক্তি তেমন পরিচিত না হলেও তাই ভাই অত্যন্ত বিখ্যাত ছিলেন। তার ভাইয়ের নাম সুহাইল ইবনে আল-আমর (রা.)। আল-সাকরান খুবই বৃদ্ধ ছিলেন, ভঙ্গুর অবস্থায় উপনীত হয়েছিলেন। তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রচারিত দ্বীন শুনেই শাহাদা পাঠ করেন এবং সাক্ষ্য দেন যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার প্রেরিত রাসূল। আল-সাকরান (রা.) এবং সাওদাহ (রা.) দুজনেই মুসলিম হওয়ায় পরিবারটি দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। মক্কার মধ্যস্থলে অবস্থিত তাদের বাড়িটি থেকে আল্লাহর দরবারে তাদের ইবাদত প্রেরিত হত সেই সময়ে যখন মক্কায় মুসলমানদের উপর জুলুমের স্টিম রোলার চালানো হচ্ছে। সময়টা এমন ছিল, যখন পরিবারের কেউ ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে তার পরিবার থেকে বঞ্চিত করা হত, তার প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা তাকে ইসলাম ত্যাগের ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করত।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুমিনদের একটি দলকে বলেন, ‘তোমরা ইথিওপিয়ায় হিজরত করে চলে যাও। সেখানে নাজ্জাশী (কিং নেগাস) নামে একজন ন্যায়পরায়ণ রাজা রয়েছেন, সেখানে তার রাজ্যে কারো উপর অবিচার করা হয় না।’
যেসব পরিবার হিজরত করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল এই পরিবারটি। তারা নিজেদের ঘর, নিজেদের বন্ধু, নিজেদের সাজানো-গোছানো সংসার, নিজেদের সবকিছু ছেড়েছুড়ে কেবল আল্লাহর জন্য অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। এমন জায়গায় তারা যাচ্ছিলেন যা সম্বন্ধে তারা জানতেন না তেমন কিছু, তারা জানতেন না সেখানে গেলে তাদেরকে কিসের মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু এরপরেও তারা হিজরত করলেন সবকিছু ফেলে রেখে। তারা ইথিওপিয়ায় পৌঁছে যান। সেই অপরিচিত নতুন ভূমিতে তাদের কিছুই ছিল না, ছিল একমাত্র মহান আল্লাহ। এভাবেই বছর গড়িয়ে যায়। তারা মক্কা থেকে খবর পাওয়ার ব্যপারে উৎকর্ণ ছিলেন। তাই যখনই তারা গুজব শুনলেন যে মক্কার সবাই মুসলিম হয়ে গিয়েছে তখন তারা আনন্দিত হয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন।
এই গুজবের পেছনের কারণও খুবই সাধারণ। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার কাবার পাশে বসে ছিলেন এবং মধুর সুরে কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন। তার তিলাওয়াতের সময় কেউ টুঁ শব্দ করত না। পিন ড্রপ সাইলেন্স বজায় থাকত। তিলাওয়াতের একপর্যায়ে তিনি নিম্নোক্ত আয়াতে এসে পৌঁছানঃ
তোমরা কি এ কথায় বিস্ময় বোধ করছ? এবং হাসি- ঠাট্টা করছ! ক্রন্দন করছনা? আর তোমরা তো গাফিল। তাই, আল্লাহর উদ্দেশে সাজদায় পতিত হও আর তাঁর বন্দেগী কর। [সূরা আন নাজম ৫০:৫৯-৬২]
এই আয়াত তিলাওয়াতের পরেই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর প্রতি সিজদায় অবনত হন। মুসলিমরাও তাকে অনুসরণ করে সিজদাবনত হন। কিন্তু সেসময় সেখানে কাফিররাও উপস্থিত থেকে তিলাওয়াত শুনছিল। আল্লাহর বাণীর মাহাত্ম্য ও গাম্ভীর্যের তীব্রতায় তারাও সবার অনুরূপ আল্লাহর প্রতি সিজদায় লুটিয়ে পড়ে। ব্যাপারটি কাফিরদের এতটাই স্পর্শ করেছিল যে সেখানে কাফিরদের হতে একজন বৃদ্ধ মানুষ ছিলেন, তিনি সিজদা করতে পারতেন না (হয়ত তার পিঠে ব্যথা ছিল), তিনি মাটি থেকে বালু উঠিয়ে নেন এবং নিজের কপালে স্পর্শ করেন এবং বলতে থাকেনঃ ‘হে আল্লাহ! এটা কি যথেষ্ট! এটা কি যথেষ্ট! এটা কি যথেষ্ট!’ এই ঘটনার খবর পুরো আরব উপদ্বীপে ছড়িয়ে যায়, এরপর বিশ্বের কিছু জায়গায় পৌঁছায় যার ভেতরে ইথিওপিয়াও ছিল। তারা শুনতে পান যে অমুসলিমরাও সিজদা করছে, তাই তারা মনে করেন কাফিররাও ইসলাম গ্রহণ করেছে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, পুরো মক্কা ইসলাম গ্রহণ করেছে। এই ঘটনার পরে, কিছু মানুষ ইসলামের শীতল ছায়াতলে আসে, কেউ কেউ কুফরিতেই অটল রয়ে যায়। যাইহোক, ইসলাম গ্রহণের এই গুজব ইথিওপিয়াতেও পৌঁছায়।
সাওদাহ বিনতে আল-জাম’আহ (রা.) এর বয়স সেসময় ষাট এর ঘরে ছিল। সেই অবস্থাতেই তারা মক্কায় ফিরে যাচ্ছিলেন যাত্রার সকল কষ্ট সহ্য করে। পথেই তারা খবর পান, মক্কার কুরাইশের কাফেররা মুসলিম হয়নি। তখন তাদের কেউ কেউ ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নিলেন, আবার কেউ কেউ মক্কার পানেই চলতে থাকলেন। যারা মক্কায় গেলেন তাদের সকলের নিরাপত্তা ছিল কেবল সাওদাহ বিনতে আল-জামআ’হ (রা.) ও তার স্বামী আল-সাকরান ইবনে আল-আমর (রা.) ব্যতীত। তখন তারা বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তায় আল্লাহই আছেন।’ আর আল্লাহর চেয়ে উত্তম নিরাপত্তাদাতা আর কেউ হতে পারে? তারা কোথায় ফিরে গেলেন? নির্যাতনের ভূমিতে।
এখানে এসে সাওদাহ (রা.) একটি স্বপ্ন দেখেন। তিনি দেখেন, ‘ তিনি কোন একটি জায়গায় রয়েছেন যেখানে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাঁটছিলেন এবং তিনি তার পায়ের পাতা সাওদাহ (রা.) এর ঘাড়ে স্পর্শ করেন।’ তিনি সকালে উঠে তার স্বামীকে স্বপ্নের ব্যাপারে বললে তিনি বলেন, ‘আমি যখন মারা যাব তার পরে তোমার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে বিয়ে হবে।’ তার মাথায় এটা আসেইনি যে তিনি কিভাবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বিয়ে করবেন? কিভাবেই বা তা সম্ভব হবে? তিনি অত্যন্ত বৃদ্ধ ছিলেন, সবচেয়ে সুন্দর ছিলেন দেখতে তেমনটাও বলা যাবে না, তার তেমন অর্থকড়ি ছিল না, বংশের দিক দিয়েও নামডাক ছিল না, কেন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মত এক ব্যক্তিত্ব তাকে বিবাহ করবে?
এর কিছুদিন পরেই তার স্ব্বামী মারা যায় এবং তিনি তার পিতার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সেখানে তার ভাইয়েরাও ছিল যারা সবাই অমুসলীম।
ঠিক সেই সময়েই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন? রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে খাদিজা (রা.) এর অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। তার সন্তানের মা যিনি তার ভালোবাসা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ভাগাভাগি করেছেন, জীবনের সুখ-দুঃখে একসাথে পথ চলেছেন, যিনি তার সাথে থেকে তাকে সকল প্রকার সাহায্য করেছেন মানসিক এবং আর্থিকভাবে সম্ভাব্য সকল উপায়ে। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় দুঃখের বছর; ‘ইয়াম আল-হুজন। এই বছরেই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সবচেয়ে প্রিয় মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে যান আল্লাহর কাছে। কেবল তাই না, তার চাচা আবু তালিবও তাকে ছেড়ে চলে যায়, যিনি এতদিন তার ভাতিজাকে নিরাপত্তা দিয়ে এসেছেন। সেসময়ে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তায়েফে ইসলামের বার্তা নিয়ে গেলে তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলা হয়।
খাদিজা (রা.) এর মৃত্যুর পর বাসায় থাকেন কেবল ফাতিমা (রা.) যার বয়স সেসময় ৮ অথবা ৯। এছাড়া উম্মে কুলসুম (রা.)ও ছিলেন। তার পক্ষে সবকিছু কঠিন হয়ে উঠেছিল এবং মানসিক অবস্থাও ভাল ছিল না। তাই এক নারী সাহাবি খাওলা বিনতে আল-হাকিম (রা.) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে দেখা করে বলেনঃ ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিয়ে করতে চাইছেন না?’ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন জবাব না দেয়ায় তিনি একই প্রশ্ন তৃতীয়বারের মত করেন। এসময় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়, ‘খাদিজা (রা.) এর পরেও কি কেউ আসতে পারে?’ এরপরে খাওলা (রা.) নিজেই নিজেকে বলেনঃ ‘যদি আমি কখনো তার সাথে এ ব্যাপারে কথা না বলতাম।’ এটা ঘটেছিল খাদিজা (রা.) এর মৃত্যুর একমাস পরেই। কিন্তু তিনি আবার কথা বললেন কারণ তার কাজ তাকে সম্পন্ন করতেই হবে। তিনি বললেন, ‘হে রাসূলুল্লাহ, কে আপনার ঘরের দেখাশোনা করবে? কে আপনার সন্তানের দেখাশোনা করবে? আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনার উপরে দায়িত্ব রয়েছে আল্লাহর বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার। আপনি যদি চান তাহলে আপনার কাছে সাওদাহ বিনতে আল জামাআ’হকে প্রস্তাব করতে পারি। তিনি সবচেয়ে সুন্দরী নারী নন, তার তেমন ক্ষমতা এবং সম্পদ প্রতিপত্তিও নেই। কিন্তু তিনি আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছেন।’ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবার সম্মতি জানালেন। তারা সাওদাহ এর বাবার সাথে কথা বললেন এবং বিয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার চাইতেও অধিক বয়সী এক নারীকে বিয়ে করলেন। আমাদের মাতা সাওদাহ (রা.) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছিলেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধুমাত্র তারই ছিলেন তিন বছর। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুঃখের সময়ে যখন মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলেন, ঠিক তখনই তার জন্য আল্লাহ সাওদাহ (রা.) কে নির্ধারণ করে দেন। তিনি সেসময়ের সবচেয়ে উদার হৃদয়ের নারী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তিনি সবসময়েই হাসিমুখে থাকতেন, তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সবচেয়ে বিষণ্ন মূহুর্তেও তার মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কঠিন মূহুর্তে তিনি তার স্তম্ভ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি তার সাথে কথা বলতেন এবং সান্ত্বনা যোগাতেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখনই বাইরে যেয়ে মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিয়ে আবার বাড়িতে ফিরে আসতেন, তখন সাওদাহ (রা.) তার জন্য অপেক্ষায় থাকতেন, তার প্রতি নিজের সব ভালোবাসা উজাড় করে দিতেন, তার সর্বোচ্চটা দিয়ে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দেখাশোনা করতেন, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সকল প্রয়োজনে নিজেকে উপস্থিত রাখতেন। তিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আনন্দ দেয়ার রাস্তা খুঁজতেন যিনি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কষ্টগুলো থেকে দূরে থাকতে পারেন, যেন তিনি তার কাছে মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন। তিনি রাসূলকে এতটাই ভালোবাসতেন যে যাতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুশি হতেন, তিনিও তাতে খুশি হতেন। এমনকি তার নিজের জন্য রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সময় বরাদ্দ রেখেছিলেন তাও তিনি হাসিমুখে দান করে দেন আইশা (রা.) এর জন্য কারণ তিনি জানতেন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আইশা (রা.) সাথে সময় কাটাতে অধিক পছন্দ করবেন। আর সেটা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সত্যিই খুশি করেছিল। এই ভালোবাসা সত্যিই ছিল অন্যরকম, যা ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছে।
তিনি আল্লাহর পথে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন, দুইবার হিজরত
করেছিলেন একবার আবিসিনিয়ায় এবং আরেকবার মদিনায় এবং বাকিজীবন তিনি মদিনাতেই কাটিয়ে দেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তাকে জান্নাতুল বাক্বীতে দাফন করা হয়। তাই যখন আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি সালাম অর্পণ করব, তার সম্মানিত সাহাবাগণকে আমরা যখন সালাম জানাব তখন আমাদের উম্মুল মুমিনীনদের কথা যেন আমরা না ভুলে যাই। মহান আল্লাহ যেন আমাদের মাকে আখিরাতে দেখার সুযোগ করে দেন, তিনি যেন আমাদের সম্মানিত মুসলিম বোনদের তার পদচিহ্ন অনুসরণের সুযোগ দান করেন, তিনি যেন আমাদের ভাইদের চোখের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে দেন যাতে তারা দ্বীনদ্বার নারীদের বিয়ে করে। এবং যেন দ্বীন মেনে চলা নারীর মূল্য অনুধাবন করেন। আমিন, ইয়া রাব্বুল আলামিন।