কুয়াকাটা তালাবন্ধের প্রথম রাতে কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জনরোষের শিকার হন। সোমবার দিবাগত রাত আটটার দিকে স্থানীয় সাংবাদিক ইউএনওকে মুখোশ না পরার জন্য দুই স্থানীয় যুবককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে ইউএনও পুলিশকে মারধরের নির্দেশ দেয়। তার সাথে থাকা পুলিশ যখন লড়াইয়ে নেমে ইলিয়াস শেখ নামে সাংবাদিককে মারধর করে, স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ইউএনওকে বাধা দেয়। আইওনওরা জনতা জনতার গাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। কুয়াকাটা মেয়র ও মহিপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে পুলিশ বাক্সের সামনে মুখোশ না পরার জন্য দুই স্থানীয় যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ইউএনও সাংবাদিক তত্ক্ষণাত্ ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ইউএনওর নির্দেশে তাঁর সাথে থাকা পুলিশ তাকে মারধর করে এবং মারধর করে।
বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ইউএনওকে অবরোধ করে। এরই মধ্যে স্থানীয়রা ইউএনওর কাছে বিচার দাবি করার প্রতিবাদ শুরু করে। এবং ইউএনও আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। পরে কুয়াকাটা মেয়র ও মহিপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ইলিয়াস শেখকে স্থানীয়রা প্রথমে কুয়াকাটা বিশ ২০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠিয়েছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে, কলাপাড়া ইউএনও জুয়াড়িদের অন-ডিউটি ইউএনও-তে আক্রমণ করার অভিযোগ করেছে, দাবি করেও যে স্থানীয়রা তাদের এ বিষয়টি ফিরিয়ে দিতে আটক করার পরে তাদের ছিনিয়ে নিয়েছিল।
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি কলটি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য শোনা যায়নি। কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ আলী বলেছেন, কুয়াকাটায় আসলে কী ঘটেছিল তা এখনও তাঁর কাছে পরিষ্কার হয়নি। আমরা কুয়াকাটায় তা জানতে।
কুয়াকাটা মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেছেন, “মি। ইউএনও এখানে আছে। বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেছি। কুয়াকাটায় ঘটে যাওয়া আসল ঘটনাটি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লেখার সময় কুয়াকাটার পরিস্থিতি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। কুয়াকাটা বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।