কর্ণাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এক সপ্তাহের লকডাউন অংশ হিসাবে সরকার বলেছে যে তারা সমস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ ও চলাফেরার বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে। তবে ব্যাংকটি পুরোপুরি বন্ধ করা যায় কি না সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত বেসরকারী অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সমস্ত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অবশ্যই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে থাকতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর ও সংশ্লিষ্ট অফিসগুলিকে নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় দেওয়া হবে।
এদিকে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পোশাক কারখানাগুলি উন্মুক্ত। এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকটিকে পুরোপুরি বন্ধ রাখা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম আজ বেলা একটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, নইলে কারখানাটি চলবে না। এজন্য আমরা অর্থ মন্ত্রকের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। অবশ্যই একটি ব্যাখ্যা আসবে। ‘
করোনার সংক্রমণ রোধে ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে চলাচল ও কাজ করার ক্ষেত্রে সরকারী বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ অনুসারে, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা ছিল। আজ ও আগামীকাল বেলা একটায় খোলা থাকবে। তবে আজকের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই প্রতিষ্ঠানগুলি ১৪ তম থেকে বন্ধ থাকবে।