গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ বাজারে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ধাওয়া করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের নিহত কর্মীর নাম মো. নয়ন শেখ। তাঁর বাড়ি কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা দাবি করেছেন, ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী খাইরুল মীরের নেতৃত্বে কিছু লোক এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
আরিফুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, গতকাল দুপুরে স্থানীয় কে এন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ছাত্রলীগের কর্মী নয়ন শেখকে দায়িত্ব দেয় একটি পক্ষ। ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নয়ন শেখ খাইরুল মীরের ছেলে অনুভবকে (১৪) ডেকে আনেন। সেখানে ডেকে এনে অনুভবকে মারধর করা হয়।
রফিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় আরেক ব্যক্তি বলেন, ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে খাইরুল মীর নয়ন শেখের কাছে যান। সেখানে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে খাইরুলকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় রাত আটটার দিকে দুই পক্ষের লোকজন পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় দুই পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।
নয়ন শেখের বড় ভাই রতন শেখ বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর কাওরাইদ বাজারে মহড়া দেন খায়রুল মীরসহ তাঁর লোকজন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়ন শেখকে দলীয় কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন তাঁরা। একপর্যায়ে দলের কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে নয়ন শেখের ওপর হামলা চালান খায়রুলসহ তাঁর লোকজন। সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর সময় তাঁকে (নয়ন) ধাওয়া করেন তাঁরা। ধাওয়ার পর পাশের একটি পুকুরে পড়ে গেলে সেখানে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নয়নকে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে খাইরুল মীরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এক ব্যক্তি ফোন ধরে বিপ্লব পরিচয় দেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় খায়রুল মীর বা তাঁর লোকজন জড়িত নন। বরং নয়ন শেখের লোকজনের আক্রমণে খাইরুল মীর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। তাঁর ছেলে অনুভবও আহত।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।