ময়মনসিংহের গৌরীপুরে রিফাত (৯) নামে এক শিশুকে একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছিল। সম্প্রতি শিশু নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত রিফাত রামগোপালপুর ইউনিয়নের মধুবন আদর্শ গ্রামের (গুচ্ছগ্রাম) সুরুজ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় রামগোপালপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
গত শুক্রবার গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়নের মধুবন আদর্শ গ্রামে (গুচ্ছগ্রাম) এ ঘটনাটি ঘটেছে, তবে বিষয়টি গোপন রহস্য থেকেই যায়। পরে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
রিফাতের বাবা সুরুজ মিয়া জানান, গত মাসের শেষ সপ্তাহে তার ছেলে হিমেল তার প্রতিবেশী ফাতেমা বেগমের গাছ থেকে আম রোপণ করেছিল। হিমেলকে তার প্রতিবেশী ফাতেমা বেগম ও তার ছেলে মারধর করে এবং গাছ থেকে নামিয়ে দেয়। তখন থেকেই রিফাত জ্বরে ভুগছিলেন। জ্বর কমে গেলে তারা শুক্রবার রিফাতকে বাসা থেকে ডেকে একটি দড়ির সাথে একটি গাছে বেধে মারধর করে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাদের বাড়িতে গেলেন, দড়িটি খুলে রিফাতকে বাড়িতে এনেছিলেন। গ্রামের বিশিষ্টজনকে অবহিত করার পরে তারা ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে মধুবান আদর্শ গ্রামের সভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছিলাম। বুধবার সবার বসার কথা ছিল। তবে বসে নেই।
শিশু রিফাতকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাতেমা বেগম। তবে তার ছেলে হিমেল শিশু রিফাতকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেছে যে তাদের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন চুরি করার জন্য রিফাতকে ধরে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে রিফাতের বাবা এসে তাকে (হিমেল) পিটিয়ে তার ছেলেকে নিয়ে যায়।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হালিম সিদ্দিকী জানান, থানায় এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।