তবে সের্হিও আগুয়েরো কী ভাবছেন কে জানে, কিন্তু তাঁর ওপর যে ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকেরা বিরক্ত সেটা কারও কাছে মতামত জানতে না চেয়েই বলে দেওয়া যায় ! আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে অমূল্য এক সুযোগই পেয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল।আর সে সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন আগুয়েরো!
পেনাল্টি পেয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল । পেনাল্টিটি তাঁরই নেওয়ার কথা আগুয়েরো মাঠে ছিলেন। আর আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সেটি নিতে চেয়েছেন একটু শৈল্পিক ভঙ্গিতে। তবে তাঁর নেওয়া সেই শৈল্পিক পানেনকা বুঝে ফেলেন চেলসির গোলকিপার এদুয়ার্দ মেন্দি। আর সহজেই ধরে ফেলেন আগুয়েরোর নেওয়া পেনাল্টি।
তবে গার্দিওলা তো ডাগআউটেই হতাশা প্রকাশ করেন। তবে আর তাঁর হতাশ হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। কে জানে সেই সময় ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা সিটি ওই গোলটি পেলে ম্যাচটি হয়তো জিতেই যেত। তবে আজ জিতলেই তো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের। ম্যান সিটির শিরোপা জয়ের উৎসব পেনাল্টি থেকে গোলটি পেলে সেই গোল উৎসবই হয়ে যেত ।
তবে সেটা তো হলোই না, উল্টো ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরে মাঠ ছেড়েছে গার্দিওলার দল। তবে ৪৪ মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। গোলটি অবশ্য এসেছে আগুয়েরোর অ্যাসিস্টেই। তবে ৬৩ মিনিটে চেলসিকে সমতায় ফেরান হাকিম জিয়েশ। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে টিমো ভেরনারের বাড়িয়ে দেওয়া বলে মার্কোস আলোনসোর গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি। আর ম্যাচ শেষে বিরক্ত, হতাশ গার্দিওলাকে দেখা গেছে নিজের মাথা চাপড়াতে !
তবে চেলসির কাছে এই হারের পর ৩৫ ম্যাচে শীর্ষে থাকা ম্যান সিটির পয়েন্ট ৮০। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৩৩ ম্যাচে ৬৭। আর এমন নয় যে এই হারে কোনো শঙ্কা জেগেছে ম্যান সিটির ।তার পরের তিন ম্যাচ থেকে একটি জয় পেলেই তো চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে তারা। এমন ভাবার লোকের সংখ্যা খুব বেশি থাকার কথা নয় আর পরের তিন ম্যাচে সিটি একটিও জয় পাবে না ! তবে এরপরও ম্যান সিটিতে এত হতাশা কেন? তবে একটু আগেভাগে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে যে পুরো মনোযোগটা দিতে পারে তারা!
তবে সিটিকে হারিয়ে শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করার দৌড়ে আরেকটু এগিয়ে গেল চেলসি। আর ৩৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৬৪, টমাস টুখেলের দল আছে তৃতীয় স্থানে। লেস্টার সিটি আছে চতুর্থ স্থানে সমান ম্যাচ খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে । আর পঞ্চম স্থানে থাকা ওয়েস্ট হামের পয়েন্ট ৫৮।