ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় বেড়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে রবিবার বিভিন্ন গন্তব্যের ফ্লাইটগুলো নির্ধারিত সময়ের এক থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ছাড়ছে।
বিভিন্ন এয়ারলাইনসের চেক-ইন কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। ইমিগ্রেশন ও বোর্ডিং ব্রিজেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, ঈদের কারণে দেশের তিনটি এয়ারলাইনসই অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করছে যা বিমানবন্দরে যাত্রী চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
জানা গেছে, যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়ে বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছে। এর ফলে ফ্লাইটের সময়সূচি বিঘ্নিত হওয়া থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি পর্যায়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সৈয়দপুর, যশোর ও বরিশালগামী বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, চেক-ইন কাউন্টারে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে ২৪ ঘণ্টার ফ্লাইট শিডিউল আবার চালু হলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে আসবে।
বর্তমানে বিমানবন্দরটির তৃতীয় টার্মিনালের ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজের জন্য মধ্যরাত থেকে আট ঘণ্টা ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে আবার ২৪ ঘন্টা ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তথ্য অনুসারে, বর্তমানে প্রায় ৩৩টি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এয়ারলাইসন প্রতিদিন গড়ে ৯০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ দৈনিক ১৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করবেন। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীর সংখ্যা থাকা ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজারের মধ্যে।