❝শায়খ আহমাদুল্লাহ (হাফি.) এর একটি লেকচার ও ভয়ঙ্কর এক স্মৃতি – ৬/১১/২০২১❞
একটু আগে শায়েখ আহমাদুল্লাহ (হাফি.) এর একটি লেকচার দেখলাম- দেখে নিজের সাথে ঘটা ভয়ঙ্কর একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল, যা মনে পড়লে আজও শরীর কাটা দিয়ে উঠে –
❝পাব্জি মোবাইল লাইট খেলতাম এক সময়, প্রতিদিন ই খেলা হতো। হঠাৎ একদিন এক ওয়াক্তের নামাজের সিজদায় পাব্জি লাইটের দৃশ্যগুলো ভেসে উঠে, প্রথমে বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছিলাম না কেন হলো? পরের ওয়াক্তেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। এমন ঘটনা রীতিমত ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। এরপরে পাব্জি লাইট ছেড়ে দিলাম ,আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যদি বিষয়টা বুঝার তৌফিক না দিতেন হয়ত মৃত অন্তর নিয়েই জীবিত থাকা লাগতো। আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া…❞
তো ঘটনাটা কেন বললাম?
কেবল শাইখ আহমাদুল্লাহ (হাফি.) এর লেকচারে এরকম বিষয়টিই শাইখ সুন্দর করে তুলে ধরলেন। দৃষ্টির সাথে ক্বলবের নিবিড় সম্পর্ক এর কথা। এই দৃষ্টি খারাপ জায়গায় দিলে সালাতও বরবাদ হয়, ক্বলব ও প্রশান্তি পায়না। যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি নিজেই…
অবাক হই কীভাবে আমরা পাব্জি, ফ্রি ফায়ার সহ নানাবিধ গেইমসে, মুভি-সিনেমা-সিরিজ, রাস্তাঘাটে নজরের হেফাযত না করা ইত্যাদি ইত্যাদি অন্তরকে মৃত বানিয়ে দেওয়া বিষয়ের সাথে নিজেদের জড়িত করে রেখেছি দিনের পর দিন । নিজের ক্বলবকে শয়তানের নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছায় দিয়ে দিচ্ছি…
আমরা কী নামাজ পড়িনা? সত্যিই নামাজ পড়ার মতো পড়ি? পড়লেও সেগুলো কি শুধুই শারীরিক কসরত?
নাকি নামাজে যে আমরা সত্যিই রবের সামনে দাঁড়িয়ে হাজিরা দিচ্ছি, সে কথা ভুলে যাই?
আমাদের ক্বলব কী সিজদায় গিয়ে রবের প্রতি আকৃষ্ট হয় নাকি ক্বলব টা মরে গেছে?
সিজদায় গিয়ে কখনো চোখ দুইটি বন্ধ করলে রবের ভয়ে অথবা, ভালোবাসায় অশ্রু গড়িয়ে পড়ে?
জানিনা, বুঝিনা… হয়ত জানি কিন্তু বুঝতে চাইনা।
আসলে আমরা কবে বুঝব? মরণের পরে?
হায়, তখন যে আর সময় থাকবেনা…!!!
যাই হোক, লেকচার লিংকটি নিম্নে দিয়ে দিলাম, সময় করে দেখে নিব ইনশাআল্লাহ আল আযিয…
সেই লেকচার লিংক –
©