আমাদের লোহিত রক্তকণিকায় থাকে হিমোগ্লোবিন।আর সেই হিমোগ্লোবিনে থাকে অক্সিজেন।তবে হিমোগ্লোবিনে প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন না থাকলে তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অক্সিজেনযুক্ত হিমোগ্লোবিন এর অভাবে ত্বক,মিউকাস মেমব্রেন যখন নীল হয়ে যায় তখন সেই অবস্থাকে বলা হয় সায়ানোসিস।অন্যভাবে বলা যায়, শরীরে ডিঅক্সিজেনেটেড হিমোগ্লোবিন বেড়ে গেলে ত্বক,মিউকাস মেমব্রেনের নীল হয়ে যাওয়াকে বলে সায়ানোসিস।এক্ষেত্রে ডিঅক্সিজেনেটেড হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ ৫ গ্রাম/ডেসিলিটার এর বেশি থাকে।
সায়ানোসিস দুই ধরনের হয়ে থাকে-
*সেন্ট্রাল সায়ানোসিস
*পেরিফেরাল সায়ানোসিস
কোনো ব্যক্তি সায়ানোসিসে আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ পরীক্ষা করবার প্রয়োজন পড়ে।অংশগুলো হলো-
*জিহ্বার ডগা
*কান
*নখ
*নাকের প্রান্ত
*ঠোঁট
সায়ানোসিসের অনেক কারণ রয়েছে।যেমনঃ
-হৃদপিণ্ডজনিত কারণ
-ফুসফুসজনিত কারণ
-মাংসপেশিজনিত কারণ
-স্নায়ুজনিত কারণ
-পলিসাইথেমিয়া
-শক
-উচ্চতা
পেরিফেরাল সায়ানোসিস সাধারণত জিহ্বায় হয়ে থাকে।কারণ জিহ্বা তুলনামূলক উষ্ণ এবং এখানে রক্ত সরবরাহ ভালো।
©দীপা সিকদার জ্যোতি