‘সুস্থ দেহ সুন্দর মন’- কথাটি প্রতিষ্ঠিত প্রবাদ বলেই সমাজে স্বীকৃত।কিন্তু প্রবাদ হলেও এর একটি অর্থ রয়েছে।কথাটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে মন সুস্থ্য থাকলে শরীর সুস্থ থাকবে;কারণ মন ছাড়া দেহ এককভাবে চলতে পারে না।আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো হলো:হৃদপিণ্ড,মস্তিষ্ক,বৃক্ক,যকৃৎ,পাকস্থলী,ফুসফুস প্রভৃতি।প্রতিটি অঙ্গের কাজ ভিন্ন ও নির্দিষ্ট।আর এদের মধ্যে সমন্বয় না থাকলে দেহ অচল হয়ে পড়ে।ব্যায়ামের মাধ্যমে এসকল অঙ্গের মধ্যে সুষম উন্নতি সাধন হয়।
সুস্থ্য সবল জীবনের জন্য প্রতিদিন সকলের পরিমিত পরিশ্রম করা উচিত।বর্তমানে কাজের ধারা,শারীরিক পরিশ্রম কম করার কারণে আমাদের স্থূলতা বাড়ছে।শরীর সুস্থ্য সবল থাকছে না,বিভিন্ন ধরনের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছি।পরিমিত শরীর চর্চার(নূন্যতম একঘন্টা) মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ্য রাখতে পারি।এছাড়া শরীর চর্চার মাধ্যমে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব।শরীর চর্চার জন্য দৈনিক বিভিন্ন ব্যায়াম করা যেতে পারে।যেমন:জোরে হাটা,দৌড়ানো,খেলাধুলা করা,সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি।দেহের ওজন বেড়ে গেলে এর জন্য অনেক ভুগতে হয়। ডায়বেটিস, হৃদরোগ সহ নানা ধরনের জটিল রোগ দেখা দেয়।শরীর চর্চার মাধ্যমে এসব রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
শরীরচর্চার জন্য কতকগুলো নিয়ম অনুসরণ করতে হয়।যেমন:সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করা যেতে পারে। ভরা পেটে কিংবা খালি পেটে ব্যায়াম করা উচিত নয়।বরং হালকা খাবার(যেমন:একটা কলা বা বিস্কুট) খেয়ে ব্যায়াম শুরু করা যেতে পারে।বিকাল সময়টা ব্যায়ামের জন্য উপযুক্ত।ব্যায়ামের পর ভরপেটে খাবার খেলে ব্যায়ামের উপকারিতা তেমন থাকে না।শিশু, বয়স্ক উভয়ের জন্যেই বয়স ভেদে ব্যায়ামের পার্থক্য রয়েছে।
Reporter: Fahima Fi Ne