শরীয়তপুর জেলা কারাগারে সতেন্দ্র কুমার (৪০) নামের এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সতেন্দ্র কুমার ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সাথুরা জেলার চেয়াপুর এলাকার চন্দ্রপালের ছেলে। গত বছর ৮ অক্টোবর পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর অনুপ্রবেশ আইনে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশের করা মামলায় ওই দিনই তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
শরীয়তপুর জেলা কারাগার সূত্রে জানায়, সতেন্দ্র কুমারকে কারাগার থেকে মামলার বিচারকাজের জন্য একাধিকবার আদালতে নেওয়া হয়। বেশ কিছুদিন ধরে সতেন্দ্র কুমার শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছিলেন। বুধবার সকালে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাগার থেকে দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বেশ কিছুদিন ধরে সতেন্দ্র কুমার শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছিলেন। বুধবার সকালে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারাগার থেকে দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা এক ভারতীয় নাগরিককে দুপুরে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তাঁর উচ্চ রক্তচাপ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট থেকে হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ভারতীয় নাগরিক মারা গেছেন।
শরীয়তপুর জেলা কারাগারে এত দিন ৪৬ জন ভারতীয় নাগরিক বন্দী ছিলেন। এর মধ্যে ৮ জন নারী। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেলেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকেরা ময়নাতদন্ত শেষ করে ওই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ কারাগার কর্তৃপক্ষর কাছে হস্তান্তর করবেন।
শরীয়তপুর জেলা কারাগারের জেল সুপারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহিম বলেন, ভারতীয় বন্দী সতেন্দ্র কুমারে মৃত্যুর বিষয়টি কারা অধিদপ্তরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি ভারতীয় হাইকমিশনকে জানিয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মরদেহ হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত তা হিমাগারে সংরক্ষণ করে রাখা হবে।