কৃষক পিতার সন্তান হিসাবে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বিলাসিতা। বল-ব্যাটে সময় কাটাতে যেখানে দুটি অনুষ্ঠানে যথাযথ খাবারের গ্যারান্টি ছিল না তা ছিল আকাশের কুসুম কল্পনা ana তবে রাতে স্বপ্ন দেখে শরিফুল ইসলাম জানতেন যে অভাবের সংসারে ক্রিকেট আলোকিত হবে। তাই শরিফুল তার বাবা-মাকে রাজি করিয়ে স্বপ্নের পেছনে ছুটল।
তিনি কাঁটা পথ পেরিয়ে এখন ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টেস্ট ফর্ম্যাটে। পরীক্ষার ক্যাপটি অমূল্য। এই টেস্ট ক্যাপটি ক্রিকেটারদের লালিত স্বপ্ন। গতকাল শ্রীলঙ্কার পলেকেলে শরিফুলের স্বপ্ন বাস্তব হয়েছিল। তরুণ বিশ্বকাপ বিজয়ী বাংলাদেশের 98 তম টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।
শরিফুল জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছ থেকে টেস্ট ক্যাপটি পেয়েছিলেন। বোলিংয়ের শুরুটা দুর্দান্ত ছিল। বাঁহাতি লাহিরু থিরিমান্নে নবম ওভারে আউট হন। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্টাম্পের সাথে লাইন এবং দৈর্ঘ্যের সাথে বোলিং করে প্রথম ওভার নেন মেডেন। দ্বিতীয় ওভারেও একই ধারাবাহিকতা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেটও পেয়ে যেতেন তিনি। থিরিমান তার অফস্টাম্পের বাইরে বল ছুরি মেরে বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত লিটন দাস একটি ক্যাচ করেন এবং ১১৮ রানে অধিনায়ককে ফিরিয়ে দেন।