আপনার স্ত্রী হয়তো খাবার নিয়ে বসে আছে, আর আপনার দেরী হচ্ছে। অফিসের জরুরী মিটিং এ ফোন সাইলেন্ট রাখতে হয়েছিল। এদিকে আপনার প্রিয়তমা স্ত্রী আপনাকে ফোন দিয়েই যাচ্ছে! ফোনে পাচ্ছে না তাই মেসেজ করছে। কিন্তু আপনার পক্ষ থেকে কোনো রেসপন্স পাচ্ছে না। এদিকে আপনিও ফোন চেক করার মতো সময় বা সুযোগ কোনোটাই পাচ্ছেন না।
মিটিং শেষ করে ফোনের পাওয়ার বাটন অন করে যেই না ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়েছেন। দেখলেন যে, প্রায় ৫০+ মিসডকল আর অসংখ্য মেসেজ। বুঝতেই পারছেন বাসায় গেলে দেখতে হবে প্রেয়সীর গোমড়া মুখ। ঝাড়ি তো অবশ্যই খাবেন, তার পর আছে মহারাণীর রাগ ভাঙ্গানোর আয়োজন। ঘাম ঝরে যাচ্ছে কীভাবে তাকে ম্যানেজ করবেন সেই চিন্তায়।
কপাল থেকে মুছে ফেলুন চিন্তার ভাঁজ। জেনে নিন কিছু কার্যকরী টিপস।
তার আগে জেনে নিন বাসায় যাবার আগে কী করবেন:
১.ফুল কিনবেন।
ফুল যে কারোরই খুব পছন্দের। আপনার স্ত্রীর পছন্দ অনুযায়ী একগুচ্ছ ফুল কিনে নিন। অথবা নিতে পারেন ফুলের মালা।
২.তার পছন্দের খাবার।
মেয়েরা সাধারণ নরমাল খাবারের মধ্যে চকলেট, চিপস, আইসক্রিম, ফুসকা, চটপটি, আচার পছন্দ করে থাকে। অনেকের আবার মিষ্টি, রসমালাই, দই, সন্দেশ পছন্দ। আপনার স্ত্রী যে খাবারটি একদম খুব বেশি পছন্দ করেন, সেই খাবারটি কিনে নিন।
৩.বাসায় যাবার আগে কল্পনা করে নিন, কীভাবে নিজেকে উপস্থান করবেন। একটু ন্যাকামি করার প্রস্তুতি আগে থেকেই নিন।
৫.নিজের উপর কনফিডেন্ট রাখুন। খবরদার, আপনি যে এখন খুব ক্লান্ত, সেটা যেন সে ঘূর্ণাক্ষরেও টের না পায়। অর্থাৎ, ক্লান্তির ভাব দেখাবেন না।
বাসায় যাবার পর:
১.আস্তে করে একবার কলিং বেল চাপুন। দরজায় নক করতে হলেও এমন ভাবে করুন, যাতে শব্দটি ভিতরের রুম পর্যন্ত যায় কিন্তু বিরক্তির উদ্রেক ঘটাবে না।
২.উনি দরজা খোলার সাথে সাথেই একটা মুচকি হাসি দিয়ে সালাম দিন।
৩.যদি দেখেন, উনি যদি কিছু না বলে অন্দর রুমের দিকে হাঁটা দিচ্ছে, আপনি রুমের বাইরেই দাঁড়িয়ে থেকে তার নাম ধরে ডাকুন। খুবই শ্রুতিমধুর সুরে ডাকবেন।
৪.তারপরও যদি সে ফিরে না তাকায়, আপনি খাবারটা লুকিয়ে ফুলগুলো হাতে নিয়ে তার সামনে যাবেন। দেরী হওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাইবেন এবং ফুলগুলো দিবেন।
৫.এরপরও তার মান না ভাঙ্গলে কান ধরে বলবেন আপনার ভুল হয়েছে। পরেরবার এরম হলে আগেই জানিয়ে রাখবেন।
৬.এরপর একটু দুষ্টুমি করতে পারেন। কেমনে দুষ্টুমি করবেন এটাও বলে দিতে হবে? মাফ চাই ভাই, এটা আপনাদের নিজেদের ব্যাপার স্যাপার।
৭.এরপর তাকে সেই খাবারের লোভ দেখাবেন এবং ওনাকে দিয়ে দিবেন।
আশা করি তাতেই আপনার অর্ধাঙ্গিনীর রাগ গলে পানি হয়ে যাবে। সেই পানিতে হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসিয়েন। আমি আসি, আসসালামু আলাইকুম।
Reporter: Mahazabin Sharmin Priya