একজন মানুষের করোনারি ধমনীর রোগ এবং আর্থেরোস্ক্লেরোটিক এর শঙ্কা আছে কিনা তা জানার জন্য তার শরীরে থাকা লিপিডের বিভিন্ন অংশের পরিমাপকে বলা হয় লিপিড প্রোফাইল।
লিপিড প্রোফাইলের মধ্যে যেগুলো অন্তর্ভূক্ত সেগুলো হলো-
*সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল
*লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল
*ট্রাইএসাইলগ্লিসারল
*হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল
★লিপিড প্রোফাইল টেস্ট কখন করতে হবে?
একজন ব্যক্তির দেহের সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ ২০০-২৩৯ মিলিগ্রাম শতাংশ হলে বুঝতে হবে উক্ত ব্যক্তির করোনারী ধমনীর রোগ আছে বা এই রোগের আশঙ্কা আছে।তখন লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করা যায়।আর লিপিড প্রোফাইল টেস্টে যদি দেখা যায় যে,দেহের সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ ২০০ মিলিগ্রাম শতাংশ বা এর বেশি তাহলে অবশ্যই তার লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করানো দরকার।
★লিপিড প্রোফাইল টেস্ট কেন করতে হয়?
বিভিন্ন বিষয়ে অবগত হতে বা সঠিক ধারণা পেতে আমরা লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করে থাকি।যেমন এই টেস্টের সাহায্যে-
*ডিসলিপিডেমিয়া আছে কিনা জানা যায়।
*ডিসলিপিডেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির রোগের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
*কোনো ব্যক্তির করোনারী ধমনীর রোগের ঝুঁকি আছে কিনা তা জানা যায়।
অর্থাৎ, লিপিড প্রোফাইলের মাধ্যমে আমরা একজন ব্যক্তির রোগের সম্পর্কে জানতে পারি,আবার তার কোনো রোগের ঝুঁকি আছে কিনা সে সম্পর্কেও জানতে পারি।
©দীপা সিকদার জ্যোতি