লালমনিরহাট জেলা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতিকরনের জন্য সদর থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ শাহা আলমকে প্রত্যাহার করতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন জেলা শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব জাহুরুল ইসলাম টিটু,বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন ও জেলা শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলামকে মারধর করার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতার করা হয়নি এবং জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক ও বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল আহমেদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে তার ডান পা ভেঙ্গে দেয় বহিরাগতরা। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে দ্বায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। সদর থানা পুলিশের এহেন কর্মকাণ্ডের কারনে জেলা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, একটি পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক সাখওয়াত হোসেন সুমন খানকে আসামী করা হয়েছে। অথচ ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটেছে তার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওইদিন পুলিশ নিজেও সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করেছে। ওই ফুটেজে আ’লীগ নেতা সুমন খানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি কিন্তু পুলিশ আওয়ামীলীগের এই শীর্ষ নেতার নামে মামলা গ্রহন করেছে। বর্তমান সদর থানা পুলিশের ভূমিকা অত্যান্ত প্রশ্নবিদ্ধ। তাই জেলার শ্রমজীবী মানুষ ওসির প্রত্যাহার চায়।
জেলার বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের ২০ জন শ্রমিক নেতার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের নিকট প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।