নারায়ণগঞ্জে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মোট ৩৫ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাদের ভাসমান মরদেহ কয়লাঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সোমবার পর্যন্ত ২৯ টি লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেছে।
জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরি ববির নেতৃত্বে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএর সমুদ্র সুরক্ষা ও ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রকও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ কয়লা খনি এলাকায় একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে সাবিত আল হাসান নামে যাত্রীবাহী লঞ্চটি ডুবে যায়। সোমবার দুপুর ১২ টায় লঞ্চটি উদ্ধার করার পরে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক দুপুর সোয়া একটায় উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করার ঘোষণা দেন।