১) রাসূলুল্লাহ(সো:)ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবসহ রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুণাহ মাফ করে দেওয়া হবে। হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত।(সহীহ বুখারী: ৩৮, সহীহ মুসলিম:৭৬০)
২) রাসূলুল্লাহ(সো:)ইরশাদ করেন, জান্নাতের একটি দরজা আছে, একে রাইয়ান বলা হয়, এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সায়িম ব্যক্তিই জান্নাত প্রবেশ করবে । আর হযরত সাহল বিন সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত।তারা ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। আর ও দিন এই বলে আহবান করা হবে সায়িমগণ কোথায়?এই পথে প্রবেশ করে তারা যেন । তারপরে এভাবে সকল সায়িম ভেতরে প্রবেশ করবে পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অত:পর কেউ প্রবেশ করেবে না এ পথে আর । সহীহ বুখারী:১৮৯৬, সহীহ মুসলিম: ১১৫২
৩) রাসূলুল্লাহ(সো:)ইরশাদ করেন, সিয়াম ঢালস্বরূ আর তোমাদের কেউ কোনোদিন সিয়াম পালন করলে তার মুখ থেকে যেন অশ্লীল কথা বের না হয় আর এটাি হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত।, আমি সায়িম এই কথা যে বলে ,কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে অথবা ঝগড়ায় প্ররোচিত করতে চায় তাহলে ।(সহীহ বুখারী: ১৮৯৪, সহীহ মুসলিম:১১৫১
৪) । রাসূলুল্লাহ(সো:)ইরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সিয়াম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব । সিয়াম ঢালস্বরূপ। আর এটা হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। আর তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। আর যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি সায়িম (রোজাদার)। যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, তার শপথ! তবে অবশ্যই সায়িমের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চেয়েও সুগন্ধি।যা তাকে খুশি করে সায়িমের জন্য রয়েছে দু’টি খুশি তা হলো সে যখন ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন সাওমের বিনিময়ে আনন্দিত হবে।(সহীহ বুখারী: ১৯০৪, সহীহ মুসলিম:১১৫১)
৫) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত যে , রাসূলুল্লাহ(সো:)ইরশাদ করে বলেন যেতোমাদের নিকট রমজান মাস উপস্থিত। আর এটা হলো এক অত্যন্ত বারাকতময় মাস। আর আল্লাহ তা’য়ালা এ মাসে তোমাদের প্রতি সাওম ফরজ করেছেন।এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এ মাসে বড় বড় শাইতানগুলোকে আটক রাখা হয় এ মাসে আকাশের দরজাসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়, ।তবে আল্লাহর জন্যে এ মাসে একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম । আর যে লোক এ রাত্রির মহা কল্যাণলাভ হতে বঞ্চিত থাকলে, সে সত্যিই বঞ্চিত ব্যক্তি।
(সুনানুন নাসায়ী:২১০৬)