১)যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্যে সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো । (সূরা বাকারা-২:১৮৩)
২) তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করবে আর সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। । ।আর এটা যাদের সাতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদইয়া-একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদান করতে পারে । আর যদি কেউ স্বা:স্ফূর্তভাবে সৎকাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। তোমাদের জন্যে অধিকতর কল্যাণকর যদি তোমরা জানতে সিয়াম পালন করাই । (সূরা বাকারা-২:১৮৪)
৩) এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কোরআন অবর্তীর্ণ হয়েছে এই রমাজান মাস । সুতরাং এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ অসুস্থ্য থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা। এজন্যে যে তোমাদের সংখ্যা পূর্ণ করবে এবং তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মাহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্যে কষ্টকর তা চান না। (সূরা বাকারাহ ২:১৮৫)
৪) তোমাদের স্ত্রীদের বৈধ করা হয়েছে সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্যে। আর তারা তোমাদের জন্যে এবং তোমরাও তাদের জন্যে পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে,অতঃপর তিনি তোমাদের তাওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদেরকে মার্জনা করেছেন, সুতরাং এখন তোমরা তাদের সাথে সংগত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্যে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন (অর্থাৎ সন্তান) তা অন্বেষণ করো ও তোমরা তোমাদের নিজেদের সাথে খিয়ানত করছিলে । আর যদি তোমরা আহার করো ও পান করো যতক্ষণ তোমাদের জন্যে (রাত্রির) কালো রেখা থেকে ফজরের সাদা রেখা স্পষ্ট হয়ে যায় পর্যন্ত। তারপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো। তবে তোমরা মসজিদে ই’তিকাফ অবস্থায় তাদের সাথে সংগত হয়ো না। কারণ এগুলো আল্লাহর (নির্ধারিত) সীমা, এবং এর নিকটবর্তী হয়ো না। আর এভাবেই আল্লাহ মানুষের জন্যে তার আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তারা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারে। (সূরা বাকারা ২:১৮৭)