রুপ কথার রাজকন্যা কথাটার মাঝে কেমন জানি এক রাজ প্রাসাদ রাজকন্যা গল্প কাহিনী কথা মনে পরে যায়। তেমনি আজ একটি রুপবর্তী রাজকন্যার কথা বলবো। একছিলো রাজা তার ছিলো ৩ স্ত্রী। রাজার ৩ স্ত্রী তেমন কেউ কাউকে সহ্য করতে পারতো না। রাজার রাজ্যে সব ছিলো, ছিলো না রাজার কোন সন্তান। তার কারন এই ৩ স্ত্রীরা ৩ জন রাজার সম্পতির জন্য কখন সন্তান নিতে চাই নাই। আর যদিও সন্তান হতো তারা মেরে ফেলতো। আর এটা রাজা কে জানতে দিতো না। রাজা স্ত্রীদের অনেক ভালোবাসতো কিন্তুু স্ত্রীরা রাজাকে শুধু ছলনা করতো । একদিন রাজা তার স্ত্রীদের পরিক্ষা নিলেন যে তোমাদের যদি বলি এই রাজ্যের সবচেয়ে সত্যাবাদী কন্যার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তোমরা কি যাবে? তখন ৩স্ত্রী বললো যাবো। প্রথম স্ত্রী বললো কেন যাবো? । রাজা বলেন তার সেবা করার জন্য। এই শুনে ৩স্ত্রী বলেন আমরা এই রাজ্যের রানী হয়ে অন্যের সেবা করবো? এবার রাজা বললো তাহলে আমি অসুস্থ হলে তোমরা কি সেবা করবে না? স্ত্রীরা বলে তার জন্য তো রাজ্যের কাজে লোক আছে তার আপনাকে দেখবে। তা ছাড়া এতো বড় রাজ্য দেখা শুনা ও রাজ্য পরিচালনায় তো আমাদের তখন লাগবে মহা রাজা। এই কথা শুনার পরে রাজা সাথে সাথে রেগে গিলেন আর দুংখ প্রকাশ করলেন। আর স্ত্রীদের শাস্তি ব্যবস্থা করেন। রাজা বলেন যে, আমি আর একটা বিয়ে করবো আর তোমরা ৩ স্ত্রী তার সেবা করবে তার সকল কাজ তোমরা করে দিবে আর এটাই তোমাদের শাস্তি।
তার পরে রাজা ৪র্থ বিয়ের ঘোষনা দিলেন রাজ্য। আর বললেন গরিব সৎ কন্যারা যে সকলে রাজ প্রাসাদে উপস্থিত হয় কালকের মধ্য। সাথে সাথে অন্য রাজ্যে খবর টা পৌচ্ছে গেলো। আর হাজার গরিব কন্যা হাজির হলো। তার মধ্যে একটি মেয়ে রাজার চোখে পড়লো। মেয়ে টা মনে হয় ৩-৪ দিন ধরে খাই নাই সম্ভবত। মেয়ে টা খাওয়া নিতে এসেছে, রাজার কাছে আসতে না আসতে রাজাকে বললো রাজা মশায় দয়া করে আমাকে সবার আগে একটু খেতে দিন আমি এতো বড় লাইন মানুষের খাওয়া দেওয়া পরে খাওয়া নেওয়া মতো অবস্থায় দাড়িয়ে থাকতে পারবো না। আমি কয়েক দিন থেকে কিছু খাইনি দয়া করে আমাকে খেতে দিন। রাজা এবার কথা শুনে বিচলিত হয়ে বললো যে প্রজাদের এই মেয়েকে একটু খেতে দেও তাড়াতাড়ি।
মেয়ে টি খাচ্ছে আর তার দিকে দেখে রাজা ভাবছে এই হলো সৎ মেয়ে আমি একে বিয়ে করবো। তাই রাজা সবাইকে চলে যেতে বলো। সেই মেয়ের খাওয়ার শেষে রাজা তাকে প্রশ্ন করলো তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে? এই প্রশ্ন পেয়ে মেয়ে টি রাজার মুখে দিকে তাকালো আর বললো যে গরিবদের এতো বড় স্বপ্ন দেখতে হয় না রাজামশাই আর লোভ করতে নেই। সৎ ভাবে একটু খাওয়া আর পড়ার জন্য ২ টা বস্ত্রই অনেক রাজা মশাই। তার কথা শুনে রাজা মুগ্ধ আর চিনতে ভুল করে নাই যে এটা একটা সৎ মেয়ে। তাই তিনি বিশ্বাসে সাথে তাকে বলো যে আমি সত্যিই তোমাকে এই রাজ্যের ছোট রানী করতে চাই যদি তুমি রাজি থাকো। তখন মেয়ে কান্না চোখে বলো রাজা মশাই আমি রাজি আমি কিন্তুু আমি সাধারন মেয়ে মতো আপনার সাথে সংসার করতে চাই আমি বিলাস বহুুলতা চাই না। আমি আপনার পায়ের নিচে একটু জায়গা দিলে হবে আর আপনার দেখভালের দায়িত্ব টা চাই এটা দিলে আমি আপনায় বিয়ে করতে রাজি।
তার পরে রাজা তাকে রাজ প্রসাদে নিয়ে গেলেন আর ৩ স্ত্রীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। স্ত্রীরা তো মনে মনে জ্বলে আগুল এই মেয়েকে দেখে যে এমন মেয়েকে রাজা রানী করবে, তার উপর তার এই মেয়ে সেবা করবে এটা ভেবে তার জ্বলে পুরে শেষ আর রাজাকে মনে মনে গালি দিচ্ছে। এই বার রাজা ৩ স্ত্রীকে বললো একে তোমরা নিয়ে যাও আর পরিস্কার করে ভালো পোশাক আর কিছু হালকা সাজিয়ে নিয়ে আসো। তার পড়ে মেয়েটা কে গোসল করতে বলে রাজা ৩ স্ত্রীরা আর কিছু কাপড় দিলো আর সাজার জন্য কিছু গহণা আর নিজে যেন সাজিয়ে নেই এমনটা বললো আর বললো যে তাদের মতো যে কখন হতে না চাই আর রাজাকে যেন তাদের নিয়ে কোন কিছু না বলি। আর বললে বিপদ আছে এমন টা বলে চলে যায়। তখন মেয়েটি গোসল করে পোশাক আর হালকা,সেজে ঘর থেকে যেই বাহির হলো, রাজার ৩ স্ত্রী দেখে তো অবাক যে এতো,সুন্দর কি করে হতে পারে তারা ঠিক দেখছিলো তো তাই তার হাতটা ধরে ফেলে চোর বললো তার পরে বলে তুৃমি কে এই রুমে তো একটা কালো বিচ্ছিরি মেয়ে ছিলো যাকে রাজা মশাই নিয়ে আসছিল
তখন সে বললো আমি সেই মেয়ে যাকে তিনি নিয়ে আসছিল। বলাতে তারা অবাক হয়ে যায় যে এতো সুন্দর মানুষ হয় এটা দেখে ৩ স্ত্রী এই বার হিংসা করতে লাগলো। এমন সময় প্রসাদ থেকে লোক এসে মেয়ে টি কে নিয়ে গেলো, তার পরে রাজ প্রাসাদে সকলকে নিয়ে ওই দিন বিয়ে হলো মেয়েটির।
রাতে ভালো করে রাজা নতুন স্ত্রীকে বললো আমি তোমাকে আমার ৩ স্ত্রীর মতো ভালোবাসবো তাদের মতো সমান অধিকার তোমার । তোমার কাছে আমার কিছু চাওয়া আছে। এই বার তার নতুন স্ত্রী বললো আমি তা আদেশ হিসাবে সেটা পালন করবো। বলেন আমার কাছে কি চাওয়া আছে? তার পরে রাজা বললো আমি একটা সন্তান চাই তোমার কাছে এটা আমার একটা বড় কষ্ট আমার ৩ স্ত্রী আমাকে কোন সন্তান দিতে পারে নাই। আমার রাজ্যে সব আছে শুধু নাই কোন সন্তান এই অভাব এটা আমাকে কষ্টে রাখে। তার নতুন স্ত্রী বললো আমি অবশ্যই আপনার কথা রাখবো। আর সর্বদায় আপনার বিশ্বাস রাখবো। নতুন স্ত্রী কথা শুনে রাজা অতান্ত খুশি হলো এবং বললো তুমি অনেক সুন্দর। কতো সুন্দর তুমি যে আমার বিশ্বাস রাখতে সক্ষাম হলে। এই ভাবে চলতে থাকলো রাজা ও নতুন রানীর জীবন। তাদের মধ্য ভালোবাসা কোন কমতি ছিলো না এটা দেখে তার ৩ স্ত্রী এক হয়ে শত্রুতামি শুরু করে বিভিন্ন ভাবে ছোট রানীর সাথে। এটা ছোট রানী বুঝতে পারে এবং সতর্ক হয়। এই ভাবে ১ বছর পার হতে ছোট রানী পেটে বাচ্চা হয় এটা পুরা রাজ্য ছড়িয়ে যায়। আর রাজা মশাই তো পৃথিবীর সবচেয়ে খুশি হয় এটার জন্য যে রাজ প্রাসাদে নতুন অতিথি আসবে এই খুশিতে তিনি রাজ্যের সকলকে দান করলেন বিভিন্ন সোনার মুদ্রা। আর রানীকে ভালোবেসে উপহার দিলো রুপ কথা রাজ্য টা পুরা তার নামে লিখে। এই রাজ্য সুন্দর্য্য টা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। এই রাজ্য টা রাজার স্বপ্ন। রাজার এটা ৩ স্ত্রী পাওয়ার কথা ছিলো যদি তাদের সন্তান হতো এটা রাজা মনে মনে ঠিক করে রাখছিল আজ ছোট স্ত্রী এটা অধিকারী হলো। রাজ্যের খুশি বন্যা শুরু হলো। দেখতে দেখতে ছোট,রানী বাচ্চা হওয়ার দিন টা চলে আসলো। রাজার এই নিয়ে চিন্তার শেষ নাই। ডাকা হলো রাজ্যের সেরা দাইমাকে তিনি আসলেন । রাজা অস্তির হয়ে আছে কি হবে ,সব ভালো ভাবে হবে তো সব কিছু। এমন অবস্থায় ৩ স্ত্রী রাজা কাছে আসলে ।এই বলতে যে ,তার কন্যা সন্তান হয়েছে ।আর এত সুন্দর হয়ছে যে ,তাকে দেখে চোখ সরাতে পারবে না। যে সে পরী থেকে সুন্দরী। এই টা শুনে তো রাজা মহা খুশি। সাথে সাথে ছোট রানী রুমে প্রবেশ করে ।আর কন্যাকে কোলে তুলে নেই। তিনি যাওয়ার পরে যা দেখলো। তার কন্যার উপরে আলো খেলা করে ।আর তার পাশে একটি পাখি আর খরগোশ বসে তাকে পাহাড়া দেয়। এটা দেখে রাজা তার কন্যার দিকে তাকালো যে, এতো সুন্দর চাঁদের মতো মুখ। সত্যাি যে কেউ মায়া কাটাতে পারবে না।
Reporter: Farjana Akter