বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২ উপলক্ষে বিশ্বভ্রমণের ধারাবাহিকতায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদর্শন করা হয়।
বুধবার (৮ জুন) বিকেলে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতিনিধি দলসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হামিদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফিটি প্রদর্শন করেন।
৫৬টি দেশ ঘোরার পথে ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক কোকা-কোলার উদ্যোগে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহায়তায় বাংলাদেশে পৌঁছায় ট্রফিটি।
পাকিস্তান থেকে বিশেষ বিমানে বেলা ১১:২৫টায় ঢাকায় পৌঁছায় ট্রফিটি। সঙ্গে ছিলেন ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু ও ফিফার সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল।
কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত ১২মে দুবাই থেকে কোকা-কোলার আয়োজনে ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির বিশ্বভ্রমণ শুরু।
রাষ্ট্রপতিকে দেখাতে বুধবার বঙ্গভবনে নেওয়া হয় বিশ্বকাপ ট্রফিটি। বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড় ও রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়া এই ট্রফি স্পর্শ করার অধিকার আর কারও নেই।
বিশ্বকাপ ফুটবল ট্রফি বাংলাদেশে নিয়ে আসায় ফিফাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
তিনি জানান, ট্রফিটি বাংলাদেশে আসার ফলে খেলোয়াড়, সংগঠক ও সমর্থকরা ফুটবলের প্রতি আরও বেশি উৎসাহিত হবেন এবং বাংলাদেশের ফুটবল আগামীতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও এগিয়ে যাবে।
এর আগে ২০১৩ সালে একটি বিশ্বকাপ ট্রফি এসেছিল। সেটি ছিল আসল ট্রফির রেপ্লিকা। তবে এবার আসল ট্রফিই এসেছে।
বাংলাদেশে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা সফর শেষে আগামীকাল রাত ১২টা ১০ মিনিটে ফুটবল ‘বিশ্বকাপ ট্রফি ২০২২’ উড়াল দেবে পরবর্তী গন্তব্য পূর্ব তিমুরের উদ্দেশে।
এসময় রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে ফটোসেশনে অংশ নেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান লালি কারেম্বু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, কোকা-কোলা কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সভাপতি শংকেট রায় ও রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।