জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত। পরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনেও এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল নয়াদিল্লি। চলমান সংকট সমাধানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছেন ভারতের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে ভারতের ওপর পশ্চিমাদের চাপ বাড়ছে বলে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ঘিরে ভারত সরকার এর মধ্যেই নানা বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে ইউক্রেনে হামলা নিয়ে রাশিয়ার সমালোচনা করেনি দিল্লি।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। দেশটির সামরিক সরঞ্জামের প্রায় ৫০ শতাংশ আমদানি করা হয় রাশিয়া থেকে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক নানা ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে মস্কোর পরীক্ষিত বন্ধু দিল্লি। অপর দিকে গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক জোরদার হয়েছে।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বিষয়ে ভারতের অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বিপরীতমুখী বিবৃতি দিচ্ছে। এ থেকেই চলমান সংকট ঘিরে দিল্লির চ্যালেঞ্জ বোঝা যায়। গতকাল শনিবার ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত দেনিস আলিপোভ দিল্লির পররাষ্ট্রনীতিকে স্বাধীন অভিহিত করে স্বাগত জানিয়েছেন। একই সময়ে এ নিয়ে কথা বলেছেন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কূটনীতিক ডোনাল্ড লু। তিনি বলেন, ইউক্রেন নিয়ে ভারত যেন স্পষ্ট অবস্থান নেয়, সে জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলতে থাকলে ভারতের জোটনিরপেক্ষ নীতি অবলম্বন করে চলাটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।