রাশিয়ার হুমকিকে পাত্তা না দিয়ে যৌথভাবে ন্যাটো সদস্যপদের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড। আর এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টল্টেনবার্গ।
বুধবার দুই দেশের রাষ্ট্রদূত ন্যাটোর হেড কোয়ার্টারে গিয়ে ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টল্টেনবার্গ-এর হাতে এই জোটে যোগদানের আবেদনপত্র জমা দেন।
আবেদনপত্র হাতে পেয়ে নিজের প্রতিক্রিয়ায় ন্যাটো প্রধান বলেন, ‘এই আবেদনপত্র জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জোটের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হল। এবার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে জোট’।
উল্লেখ্য, সুইডেন-ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান এই জোটের প্রভাবকে অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে রাশিয়ার তুলনায় ন্যাটোর সীমানা আরও বাড়বে। আরও দুর্বল হবেন পুতিন।
তবে ন্যাটো সদস্য তুরস্ক সুইডেন-ফিনল্যান্ডের এই যোগদানের বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি, আঙ্কারাবিরোধী তুরস্কের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয় এই দুই দেশ এমনকি তাদের জন্য সেফ প্যাসেজও তৈরি করে দেয়। বিষয়টি বাকি সদস্যদেশ এবং তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানসূত্র খোঁজা হবে বলে জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান।
মঙ্গলবারই সুইডেন থেকে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্টোর সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ন্যাটো সদস্যপদের জন্য তাদের আবেদন জমা দেবেন বলে জানান সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। ১৭ এবং ১৮ মে দুইদিনের জন্য সুইডেন সফরে গিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট। সুইডিশ সরকার সূত্রে খবর, সাউলি নিনিস্টো এবং ম্যাগডালেনা বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করবেন।
সোমবারই সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছা নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ নিলে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে উপযুক্ত জবাব দেবে মস্কো।