তবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিধিনিষেধের মধ্যে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কর্মী সভা রাতে আহ্বান করে সকালে বাতিল করা হয়েছে । আর আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমার ময়ূরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারে কর্মী সভা ডাকা হয়েছিল । তবে এতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল । আর কর্মী সভাটি গতকাল সোমবার রাতে ডেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানো হয় ।
দলীয় সূত্র জানায় যায় , করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিধিনিষেধের মধ্যে এই সভার আয়োজন নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় । তবে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন রংপুর ডেইলীকে বলেন, সকাল নয়টার দিকে কর্মী সভা বাতিল করা হয় । তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
তবে এদিকে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হতে যাওয়ায় সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনী প্রচারণা সাত দিন স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । আর এ সময়ের মধ্যে কোনো প্রার্থী কিংবা তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা প্রচারণায় অংশ নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তবে তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৮ জুলাই এ আসনে ভোট হওয়ার কথা ।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহা. ইসরাইল হোসেন রংপুর ডেইলীকে বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে । তবে নির্দেশনা অনুযায়ী, ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রার্থী ও তাঁদের পক্ষে গণজমায়েত কিংবা কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালানো যাবে না । তবে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । আর সাত দিন পর পরবর্তী নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হবে।
তবে গত ১১ মার্চ করোনায় সংক্রমিত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান । তার পরে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় । আর ৩ লাখ ৫২ হাজার ভোটারের এই আসনে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন । তবে তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান (নৌকা), জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান (লাঙল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শফি আহমদ চৌধুরী (মোটরগাড়ি) ।