রাত পোহালেই চতুর্থ ধাপে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
আয়তন এবং ভোটার সংখ্যার দিক দিয়ে এই উপজেলা ছোট হলেও এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় নয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫০ জন পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহঃ আইনুল হক জানান, তফসিল অনুযায়ী চতুর্থ ধাপে গঙ্গাচড়া উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এইসব নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সবকটি ইউনিয়নের নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্রে পৌঁছানোর যাবতীয় কাজ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় স্ব স্ব কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
এই নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আনসার, পুলিশ সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন। তাছাড়া ভোটগ্রহণের সময় র্যাবের টিম ও বিজিবির টহল দলসহ সার্বক্ষণিক স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচনের সময়ে কোনো প্রকার অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হলে তাৎক্ষণিক শান্তির জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকবেন। এ নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ফলে ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসা এবং ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।